আব্দুর রহমান বিশ্বাস: লক্ষ্মীপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারে মেঘনা নদীর তীরবর্তী প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় নদীতে প্রায় ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার (২৩ জুলাই ) সন্ধ্যা ৬টায় পর্যন্ত জোয়ারের পানি কমেনি বলে জানা গেছে। তবে জোয়ার কমার সাথে সাথে পানি নামতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জানা গেছে, জোয়ারে কমলনগরের এস আলম সড়ক ৩য় বারের মতো বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। এড়াছা বলিরপোল থেকে নাছিরগঞ্জ সড়কে ২টি স্থানের বিছিন্নর ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আমনের বিচতলার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রায়পুর থেকে সদর ও কমলনগর হয়ে রামগতি পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী এলাকার বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের চররমনি, চরমেঘা, রায়পুরের চর আবাবিল, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, কমলনগরের চরফলকন, সাহেবেরহাট, চর মার্টিন, চরকালকিনি, চরলরেন্স, নবীগঞ্জ, মাতাব্বার হাট ও রামগতির আলেকজান্ডারসহ প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর তীর থেকে এসব এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ারের পানি ঢুকেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রায় ২০টি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে নদীর তীর থেকে ২ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নদী সংযুক্ত খাল, পুকুর, বসতঘর, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়-প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। কোথাও কোথাও কোমড় পরিমাণ পানিও হয়েছে। এতে মেঘনা উপকূলীয় মানুষগুলো চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
0Share