কাজল কায়েস,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: দীর্ঘ সময় থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়াচর্চায় এগিয়ে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জেলা ক্রীড়া অফিস । আর লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে । সে থেকেই ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, হ্যান্ডবল, সাঁতার ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতাসহ সব খেলা এখানে
নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের ক্রীড়াঙ্গনের নানা দিক নিয়ে ৫ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখছেন আমাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কাজল কায়েস । তৃতীয় পর্বে আজকের আয়োজন: ক্রিকেটে জেলার উজ্জ্বল মুখ রবিউল রানা আর তানজীদ আহমেদ ইমন
রবিউল আলম রানা
গত প্রথম বিভাগ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ১৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ইন্দিরা রোডকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন লক্ষ্মীপুরের ছেলে রবিউল আলম রানা। বিস্ফোরক ইনিংসটির পর নাম বিভ্রাটে পড়েছিলেন এই তরুণ। প্রায় সবাই তাঁকে ডাকছিলেন রুবেল আলম নামে! এ নিয়ে হাসতে হাসতেই বলছিলেন,‘ কেউ আমাকে চিনেটিনে না তো এজন্যই এরকম হয়েছে। তবে আমি নিজেকে চেনাতে চাই।’ সেই ক্ষমতা আছে রবিউলের। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ফাইনালেই তো টানা পাঁচ বলে মেরেছিলেন পাঁচটি ছক্কা। যেকোন পর্যায়ের ক্রিকেটেই এটা কঠিন কাজ। এটা অবলীলায় করতে পারায় জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার স্বপ্নই দেখছেন রবিউল,‘ মারমুখী ব্যাটসম্যান না থাকায় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তেমন শক্তিশালী নয়। আমি কিন্তু এই ফর্ম্যাটের আদর্শ ব্যাটসম্যান। এবার বিপিএলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে অন্তত জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারি।’
লক্ষ্মীপুর জেলা অনুর্ধ্ব-১৫ দল দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু রবিউলের। ২০০৮-০৯ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগে খেলার পর ২০০৯-১০’এ দ্বিতীয় বিভাগ খেলেন লালমাটিয়ার হয়ে। এরপর থেকে খেলছেন ইন্দিরা রোডে। টি-টোয়েন্টির ফাইনালে বিস্ফোরক ইনিংসটির পর বিপিএলের কোন দল আর প্রিমিয়ার লিগের নামি ক্লাবে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় এখন রবিউল আলম রানা।
তানজীদ আহমেদ ইমন
তাঁর মত লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রিকেট দল থেকে উঠে এসেছেন তানজীদ আহমেদ ইমনও। জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৬ দলে এরই মধ্যে নেতৃত্বে দিয়েছেন ইমন। খেলেছেন অনুর্ধ্ব-১৭ দলেও। এখন খেলছেন দ্বিতীয় বিভাগের দল কালিন্দী ক্রীড়া চক্রে। গত দ্বিতীয় বিভাগ লিগে ইমন ২৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি করেছিলেন ৪০০’র বেশি রান। তাই পান সেরা অলরাউন্ডারের পুরস্কার। রানার মত ইমনেরও স্বপ্ন জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করা। এছাড়া বেশ কজন তরুণ বয়স ভিত্তিক জাতীয় দল আর ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন এই জেলার। অনুর্ধ্ব-১৫ ও ১৭ দলে খেলেছেন ইয়াসিন আরাফাত হীরা। অনুর্ধ্ব-১৭ দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন মামুন উদ্দিন,হাসান মাহমুদরা। এই সাফল্যের রুপকার জেলা দলের কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার মনির হোসেন। তাঁর হাত ধরেই ইমনরা এখন স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলে খেলার।
0Share