সানা উল্লাহ সানু: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরের পশুহাটগুলো জমে উঠেছে। হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। রবিবার কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায় দেশিয় জাতের গরুর সরবরাহ ও চাহিদা দুটোই বেশি। ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায় শুধু তোরাবগঞ্জই নয়
জেলাব্যাপী সবগুলো পশুর হাটেই দেশিয় জাতের গরুর সরবরাহ ও চাহিদা বেশি। এবার ভারতীয় গরুর প্রতি ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রেতা। জেলার রবিবারের বাজারগুলো দেশিগুরু বিক্রি হয়েছে প্রচুর। বিক্রেতাসহ হাট কর্তৃপক্ষের দাবি, ঈদের আগের দুদিনে গরুর বেচাকেনা আরও বাড়বে ।
এদিকে যতই দিন যাচ্ছে ততই তৎপরতা বেড়েছে দালালদের। বিগত কয়েক দিন দাম বেশি থাকলে শুক্রবার থেকে দাম কমছে। তবে জেলার প্রায় সব হাটেই অতিরিক্ত টোল (খাজনা ) আদায়ের অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কোনো হাটেই টোল আদায়ের তালিকা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন আমাদের উপজেলা প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, হাটগুলোতে জাল টাকার আতঙ্ক থাকালেও জেলা বেশির ভাগ বাজারে প্রশাসন থেকে জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন বসানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা। কিন্তু প্রায় সবগুলো বড়হাটে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। নিয়মিত হাট ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় মাঠে অস্থায়ী হাট বসেছে। দেশি জাতের গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় স্থানীয় ক্রেতারা ঝুঁকছেন সে দিকে।
জেলা শহরসহ উপজেলা সদর, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতির হাটবাজার গুলোতে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। লক্ষ্মীপুরের গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, হাটে দেশি গরু তুলতে পারলেই বিক্রি নিয়ে আর কোনো ভাবনা থাকে না, কেননা লক্ষ্মীপুর জেলার হাটগুলোতে বরাবরই দেশি গরুর চাহিদা থাকে।
জেলার বড় পশুরহাট গুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষ্মীপুর পৌর পশুরহাট, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, নাগেরহাট, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, হাজিরহাট, রামগতির জমিদারহাট, আলেকজান্ডার বাজার, রামগঞ্জের সোনাপুর কলেজগেট, নওগা, পানপাড়া, রায়পুরের নতুন বাজার, হায়দরগঞ্জ এবং কাফিলাতলী । দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বহু পাইকার ও ব্যাপারিরা এসব হাটে গরু এনে বিক্রি করে থাকেন ।
কমলনগরের গরু ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, চলতি সপ্তাহে হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে ভেসে উঠেছে লাভের আশা।
হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু ৬৫-৯০ হাজার, মাঝারি ৪০-৫০ হাজার, ছোট ২৫-৩৫ হাজার এবং ছাগল ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
0Share