সানা উল্লাহ সানুঃ এ সময়ের জনপ্রিয় বাংলা নাটক ও সৃজনশীল সিনেমা রচনায় দেশের শোবিজ জগতের শীর্ষ নাম আহসান আলমগীর। কমেডি, হরর, লাভ ষ্টোরী ও ম্যাসেজ ধর্মী ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে নির্মিত সব কাহিনীর জন্মদাতা নাট্যকারের নাম আহসান আলমগীর। এবারের ঈদ-উল-আযহায় তার রচনায় ১১টি নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারের অপেক্ষা রয়েছে। প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে আরো কিছু ধারাবাহিক নাটক ও ডেইলী সোপ এবং বেশ কয়েকটি টেলিফিল্ম।
ঈদুল আযহার নাটকগুলোর মধ্যে প্রবীণ পরিচালক মোহন খান এটিএন বাংলার জন্য নির্মান করেছেন হরর নাটক “ভূত-অদ্ভুত” । বৈশাখী টিভির জন্য কমেডি নাটক “পিকুলিয়ার” দেবাশীষ বড়–য়া দীপ নির্মান করেছেন গাজী টিভির জন্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কমেডি নাটক “আঁর কাক্কুর বিয়া” এবং এটিএন বাংলার জন্য “দিগন্তের শেষ প্রান্তে” শামীম জামান নির্মান করেছেন এটিএন বাংলার জন্য “চুটকি ভান্ডার-২” । কায়সার আহমেদ নির্মান করেছেন মুভি বাংলা টিভির জন্য “চোরের বউ” । মজিবুল হক খোকন চ্যানেল আই-এর জন্য নির্মান করেছেন “আবিস্কার” ও “ফেসবুক ভাইরাস”, শাখাওয়াত শিবলি নির্মান করেছেন মাছরাঙ্গা টিভির জন্য “হিরোইন”, আহমেদ আজিম টিটো নির্মান করেছেন “হেড অফিসে গন্ডগোল” এবং ফিরোজ আহম্দে নির্মান করেছেন “বুকে তার চন্দনের ঘ্রান”।
এছাড়াও আহসান আলমগীরের রচনায় মজিবুল হক খোকনের পরিচালনায় প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ৮.০০ এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয় ধারাবাহিক নাটক “মন থেকে দুরে নয়” ২ সেপ্টেম্বর থেকে শামীম জামানের পরিচালনায় আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে ডেইলী সোপ “ঝামেলা আনলিমিটেড”।
প্রচারের অপেক্ষায় আছে অরণ্য আনোয়ারের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক “একদিন ছুটি হবে”, দেবাশীষ বড়–য়া দীপের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক “জ্যোতিষ টিপু সুলতান” ও তুষার আহমেদ পরিচালিত ধারাবাহিক নাট “চাঁদে অমাবস্যা”
ইতোমধ্যে প্রচারিত আরো ১১ টি নাটক হচ্ছে, বিটিভিতে ব্যস্ত ডাক্তার এমবিবিএস, চ্যানেল আইতে পরিচালক অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, আজ কিছু হতে চলেছে , একুশে টিভিতে ঘটক বাকী ভাই, ঘোড়ার ডিম, চার কন্যা, হাউজ নাম্বার ৭৭৭। এশিয়ান টিভিতে ঈদ মোবারক, কেউ কথা রাখেনি, চ্যানেল ওয়ানে জেন্টস টেইলাস, আনোয়ার। বাংলা ভিশনে হৈ হৈ রৈ রৈ ।
আহসান আলমগীরের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী গ্রামে। লক্ষ্মীপুরের আরেক কৃতি নাট্যকার ও পরিচালক অরণ্য আনোয়ারের হাত ধরেই নাটক লেখায় হাতেখড়ি তার। অরণ্য আনোয়ারের পরিচালনায় ২০০৭ সালে আলমগীরের চিত্রনাট্যে প্রথম একক নাটক ‘দেয়াল আলমারী’ চ্যানেল ওয়ানে প্রচার হয়। নাটকটি ‘বাচসাস’-এর সেরা নাটকের পুরস্কার লাভ করে। পাশাপাশি নাট্যকার ক্যাটিগরিতে আহসান আলমগীর মনোনয়ন লাভ করেন। এবং এই নাটকের মধ্য দিয়ে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’-এ সেরা অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন মোশারফ করিম।
সে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ টি ধারাবাহিক এবং ৫১ টির বেশি একক নাটক লিখেছেন তিনি। টেলিছবি সমপ্রচার হয়েছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। তার লেখা ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন অরণ্য আনোয়ার, দেবাশিষ বড়ুয়া দিপসহ অনেকেই।
তিনি নাটকের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালীর ভাষা, কৃষ্টি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরছেন। আলমগীর বলেন, গ্রামের ছেলে হিসেবে আমি বরাবরই চেষ্টা করি চিত্রনাট্যের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারা তুলে ধরতে।
0Share