নিজেদের ফুটবলশৈলী দিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে লম্বা সময় ধরে বুঁদ করে রেখেছেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। মেসি-নেইমারদের গোল এতদিন কেবল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দে ভাসিয়েছে। এবার তাদের করা গোল জোগাবে ক্ষুধার্ত শিশুদের খাবার। মেসি-নেইমারের করা প্রতিটি গোলে ১০ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা হবে। ৩১ মে, বৃহস্পতিবারের পর থেকে যেকোনো অফিশিয়াল টুর্নামেন্টে মেসি বা নেইমার গোল করলেই লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্কুলে ১০ হাজার শিশুর খাবারের জোগান হয়ে যাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপে করা গোলও এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মেসি, নেইমারের গোল উপলক্ষ্য করে এই দাতব্য কাজের উদ্যোগটি নিয়েছে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেসি-নেইমারের প্রতি গোলের জন্য জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কার্যক্রমে (ডব্লিউএফপি) তারা ১০ হাজার খাবার দান করবে।
এই খাবার লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের স্কুলশিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। মাস্টারকার্ডের এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মেসি বলেন, ‘এই কাজে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এটা হাজার হাজার শিশুর জীবন পাল্টাতে সহায়তা করবে এবং আমি আশা করি অনেকের মুখে হাসি ফুটবে।’ এই কাজে সহায়তা করতে পেরে খুশি নেইমারও। ব্রাজিলের এই তারকা বলেন, ‘শিশুরা যেন একবেলা খাবার পায়, আরও বেশি আশাবাদী হয়ে ওঠে, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা (লাতিন আমেরিকান) জানি, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক দারুণ কিছু করি এবং এটা তারই উদাহরণ। আমরা একসঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ব।’
চলতি বছরের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ‘টুগেদার উই আর ১০’ নামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে উদ্যোগটির সূচনা করে মাস্টারকার্ড। আগ্রহী যে কেউ চাইলে এখানে দান করার সুযোগ পাবেন। সে জন্য টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে #JuntosSomos10 হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কিংবা মাস্টারকার্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দান করতে পারবেন। প্রতিবার এই হ্যাশট্যাগটি ব্যবহারের বিনিময়ে একজন স্কুলপড়ুয়া শিশুকে খাবার দেবে মাস্টারকার্ড। এ বিষয়ে মাস্টারকার্ডের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের মুখপাত্র এনা ফেরেল বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকায় চার কোটির বেশি মানুষ ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে, যাদের বড় অংশ শিশু। শিক্ষায় সহায়তার একটি উপায় হলো ক্ষুধা ও শিশুদের অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই এবং এর মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়া যায়।’
0Share