সবেমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক গন্ডি পেরোনো এক তরুণ শান্ত আহম্মেদ। ৫ম শ্রেণিতে স্কুল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্য জগতে বিচরণ তার। এরপর তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে মাসিক সাম্প্রতিক স্বদেশ, দৈনিক কালের প্রবাহ ও কারেন্ট নিউজসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০১৮ এ স্বরচিত কবিতা রচনায় লক্ষ্মীপুর জেলাতে প্রথম হয়েছেন তিনি। এছাড়াও আবৃত্তি চর্চাও করেন। লক্ষ্মীপুর আবৃত্তি একাডেমিতে “শিশির ভেজা হেমন্ত” প্রতিযোগিতা ২০১৯ এ অর্জন করেছে প্রথম স্থান।
শান্ত আহম্মেদের এবারের চমক হচ্ছে, একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার গল্প গ্রন্থ “একটি রক্ত পলাশ বৃক্ষ”। এর আগে ২০১৮ বই মেলায় ছিন্নমূল সুমন সম্পাদিত “মেঘপিওনের চিঠি” বইতে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা “প্রিয় হিতৈষী”। তার এবারের বইটি প্রকাশিত হয়েছে ঘাসফুল প্রকাশনী [স্টল নং ৪৬৩] থেকে।
লক্ষ্মীপুর জেলা বই মেলাতে বইটি পাওয়া যাবে, ভাষার প্রদীপ স্টলে।
বইটিতে আছে ৬টি গল্প। অলিখিত চুক্তি, লিজা আন্টির বিয়ে, তৃতীয় কন্যা, সুদীপ্ত, গ্যাস বেলুন ও একটি রক্ত পলাশ বৃক্ষ। প্রত্যেকটি গল্পে ব্যস্তবতাকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে এক একটি চরিত্র।
তরুণ লেখকের জন্ম ২০০০ সালের ১লা ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর আলেকজান্ডার গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ছিলেন আলেকজান্ডার মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক বৃহত্তর রামগতি উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি। মা সেলিনা কামাল একজন গৃহিণী। শান্ত আহম্মেদ আলেকজান্ডার মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথমিক, আলেকজান্ডার মডেল পাইলট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও আ স ম আব্দুর রব সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মধ্যেমিক শেষ করে একই প্রতিষ্ঠানে বিবিএস এর প্রথম বর্ষের ছাত্র
বই প্রকাশের অনুভূতি প্রকাশ করে এ তরুণ লেখক বলছিলেন, “প্রথম বই প্রকাশিত হওয়ার আনন্দ বলে বুঝানো যায় কিনা তা আমার জানা নেই। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। পেয়েছি পাঠক প্রিয়তাও। অনেকেই বই পড়ে তাদের ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন। সবার উত্তর পজিটিভ ছিলো। এখন পর্যন্ত নেগেটিভ উত্তর পাইনি। তবে হ্যাঁ একজন লেখক হিসেবে নিজের ভুল মাথা পেতে নিতে আমি একটুও লজ্জাবোধ করবো না৷ আমরা যে মানুষ তার বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা ভুল করি৷ পৃথিবীতে ধর্ম গ্রন্থ ছাড়া আর কোন বই নির্ভুল হতে পারে না এটি আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি৷”
0Share