লক্ষ্মীপুর: “লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা” গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার অংশীদার হয়েছেন লক্ষ্মীপুরে কয়েক হাজার জনতা। জেলা প্রশাসক একেএম টিপু সুলতানের নেতৃত্বে বুধাবর সকাল ১১টায় জেলা স্টেডিয়ামে বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম আলাউদ্দিন, পৌর মেয়র এমএ তাহের, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আনোয়ারুল হক মাস্টার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুসহ সরকারি বেসরকারি সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনতা। এ সময় স্টেডিয়াম গ্যালারি ছিল লোকে লোকারণ্য।
কমলনগর
কমলনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে তোপধ্বনির মাধ্যমে কমলনগরে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত দুলাল এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আওয়াল, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে মাষ্টার এ কে এম নুরুল আমিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, কমলনগর প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জেএসডি)‘র পক্ষে অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)র পক্ষে আবদুল মজিদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেছেন। সকালে হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমী মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রায়পুর
রায়পুরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ৪৪ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশের গড়া আরও একটি নতুন রেকর্ডে শামিল হতে পৌর শহরের মার্চ্চেন্টস একাডেমির মাঠে ১০ হাজার কণ্ঠে আমার সোনার বাংলা, কর্মসূচির সঙ্গে রায়পুরবাসীও একাত্মতা ঘোষণা করে। প্রিয় প্রাণের সংগীত গাওয়ার মুহূর্তে যেন খানিক সময়ের জন্য থমকে দাঁড়ায় গোটা শহর। যে, যেখানে, যে অবস্থায় ছিলেন সেভাবেই দাঁড়িয়ে যান, কণ্ঠ মেলান জাতীয় সংগীতের সুরে। লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অংশ হিসেবে রায়পুরের ৬টি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ‘সোনার বাংলা’র সুর তোলেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন, প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মার্চ্চেন্টস একাডেমির মাঠে এ দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মার্চ পাস্ট ও কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। সাড়ে ১০ টায় প্রায় ৩’শ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ১১টায় একই মাঠে ১০ হাজার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশ গ্রহনে তাদের কণ্ঠে আমার সোনার বাংলা, গাওয়া জাতীয় কর্মূচিতে একত্মতা প্রকাশ করে সোনার বাংলা গাওয়া কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আলম, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, ওসি রুপক কুমার সাহা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তফা খালেদ, শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া, ইসমাইল হোসেন তারেক, প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর মজুমদার, আ.লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন খোকন, এড. মিজানুর রহমান মুন্সী, রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, জামসেদ কবির বাকী বিল্লাহ, শিক্ষক আলমগীর হোসেন মাস্টারসহ উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রামগঞ্জ
“লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা”র দেশব্যপি অংশ হিসাবে রামগঞ্জ উপজেলায় ও পালিত হয়েছে অন্য রকম আনন্দঘন পরিবেশে। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত রামগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠের অনুষ্ঠানে রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য লায়ন এম এ আউয়াল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহাবুবুল আলম, রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ইউপি চেয়ারম্যান, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষ সকাল ১১টায় এক যোগে গেয়ে উঠেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
এছাড়াও জেলার রামগতি উপজেলাতেও একযোগে হাজার হাজার মানুষ জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” পরিবেশন করে।
0Share