জামাল উদ্দিন রাফি: ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরে পশুহাটগুলো জমে উঠেছে। হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় গরু ব্যবসায়ীদের লাভের মুখ দেখার আশার সঞ্চার করেছে। দেশি জাতের গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় স্থানীয় ক্রেতারা ঝুঁকছেন সে দিকে।
লক্ষ্মীপুর জেলার বড় বড় পশু হাটগুলোতে সরজমিন পযবেক্ষন করে জামাল উদ্দিন রাফি’র বিশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। জেলার কমলনগর,রায়পুর, রামগঞ্জ ও রামগতিতে হাটবাজার গুলোতে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। তবে দেশি গরুর দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা এবার লাভের আশা করছেন। পাশাপশি গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে গরুর দাম বাড়তি রয়েছে।
এবার দেশী গরুর চাহিদা ও দাম বৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে বিশ্লেষকগণ জানান,বিএসএফের কড়াকড়ির কারণে এবার ভারতীয় গরুর আমদানি কম হলেও বাড়ি ও খামারে পালন করা গরু যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে প্রতিটি হাটে। তবে, ভারত থেকে আসা কিছু বড় আকৃতির গরুগুলো বাজারে দেখা যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, হাটে দেশি গরু তুলতে পারলেই বিক্রি নিয়ে আর কোনো ভাবনা থাকে না, কেন না লক্ষ্মীপুর জেলার হাটগুলোতে বরাবরই দেশি গরুর চাহিদা থাকে।
এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটগুলোতে গরু বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। হাটগুলো হলো- কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, হাজিরহাট। রামগতির জমিদারহাট, আলেকজান্ডার বাজার ও রামগঞ্জ ও রায়পুরে । গত ১৫দিন থেকে এ হাটগুলো জমতে থাকে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার ও ব্যাপারিরা এসব হাটে এসে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে ।
কমলনগরের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগে হাটগুলোতে গরুর তুলনায় ছাগল বিক্রি বেশি হচ্ছিল। অনেকেই নতুন জামাইয়ের বাড়ীতে ছাগল দিতে হয়। যা বাঙ্গালী জাতির একটি রীতি। আর সেই সুযোগে ছাগলের দামও বেড়ে যায়। তবে শেষ মুহূর্তে মানুষ গরু কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
কমলনগরের গরু ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, চলতি সপ্তাহে হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে ভেসে উঠেছে লাভের আশা।
হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু ৬৫-৯০ হাজার, মাঝারি ৪০-৫০ হাজার, ছোট ২৫-৩৫ হাজার এবং ছাগল ৫-১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
0Share