সানা উল্রাহ সানু:: লক্ষ্মীপুর জেলার কামাররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার দা, ছুরি, চাকু ও বটি তৈরী করতে ব্যস্ত তারা। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে জেলার প্রায় সকল উপজেলার লোকজনই এখন কামারের শরনাপ্ন হচ্ছেন। সময় মত প্রযোজনীয় সমগ্রী তৈরী করে দিতে দিন রাত কাজ করছেন তারা। তাই কাজের ধুম পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের প্রতিটি কামারের দোকান গুলোতে।
তবে নদী ভাঙ্গন কবলিত রামগতি এবং কমলনগরে কামারদের তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য এবং
লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ ,রায়পুর ,রামগতি এবং কমলনগর উপজেলার কামার শিল্পের শ্রমিকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, দা, বটি, চাপাতি, চাকু তৈরী এবং পুরানো ধারালো অস্ত্রে শান দিতে এখন তারা দারুন ব্যস্ত।
এ শিল্পের প্রধান উপকরন লোহা, ইস্পাত ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে ভুগছেন তারা। এক সময় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এক বস্তা কাঠ কয়লা পাওয়া যেতো। এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। এছাড়া লোহার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিকাংশ সময়ই এই শিল্পের লোকজন প্রায় বেকার সময় কাটান।
প্রতি মাসে একজন কামারী নুতন তৈরী ও পুরাতন গুলো শান দিয়ে যে পরিমান অর্থ উপর্যন করে তা দিয়ে সংসার চালোন কঠিন। তাই অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় মনোনিবেশ করছেন।
এ শিল্পের সাথে জড়িত মান্দারির শিপন কর্মকার জানান, লোহার দাম বেড়েছে। বাতাস দেয়ার চামড়ার তৈরী ভাতির দামও বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দিতে হয়। সারা বছর তেমন কোন কাজ কর্ম না থাকলেও প্রতি বছর কোরবানির ঈদের সময় এ শিল্পের কদর বাড়ে।
একই কথা বললেন চন্দ্রগঞ্জের কর্মকার বিজয় ও লক্ষণ কর্মকার। তাদের ভাষায় ঈদ মৌসুমে কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায় ঠিকই কিন্তু কারিগর পাওয়া যাচ্ছেনা। এছাড়া বর্তমানে কামারের তৈরী লোহার জিনিসের পরিবর্তে স্টিলের যন্ত্রপাতির দিকে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে গেছে বলে তারা জানান।
0Share