ফারজানা আক্তার রিমি, বয়স সাড়ে ৪ মাস। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্ট্রসনোগ্রামে তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। ফুটফুটে এ শিশুটির ভবিষ্যৎ এখন ধোঁয়াশায় ঘিরে রয়েছে। তাকে বাঁচাতে প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার বাবা নির্মাণ শ্রমিকের সহযোগী মো. রাজুর পক্ষে এটি দুঃস্বপ্ন।
দেড় বছর আগে পানিতে পড়ে তার বড় মেয়ে রেশমি আক্তার মারা যায়। এখন ছোট মেয়েটিকে বাঁচাতে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে জোর আকুতি জানাচ্ছেন তিনি।
রিমিকে নিয়ে তার বাবা মো. রাজু ও মুক্তা আক্তার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। তারা স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের কোন ধন-সম্পদ নেই। টিনের যে জীর্ণশীর্ণ ঘরটিতে তারা এখন বসবাস করছেন সেটিও অন্যের। যেকোন সময় সে আশ্রয়টুকুও তাদের ছেড়ে দিতে হবে। শিশু রিমিকে বাঁচাতে সহযোগীতার জন্য যোগাযোগ- মা মুক্তা আক্তার, ০১৭২৭৬৭৭২৩৮ (বিকাশ, ব্যক্তিগত)।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর রিমি অসুস্থ হয়ে পড়লে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মোরশেদ আলম হিরুর কাছে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নোয়াখালীতে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
৪ জানুয়ারি রিমিকে চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিনের চিকিৎসার জন্য নিলে আল্টাসনোগ্রাম করতে দেন। পরীক্ষার প্রতিবেদনে রিমির হার্টে ছিদ্র দেখা যায়। এসময় আগামি ৩ মাসের মধ্যে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
রিমির মা মুক্তা ও বাবা রাজু জানায়, তাদের বড় মেয়ে রেশমি আক্তার দেড় বছর আগে মারা গেছে। এখন তার ছোট মেয়েটিরও জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। মেয়েটিকে হারালে তাদের বাঁচার আর কোন স্বপ্ন থাকবে না। কান্নাই এখন তাদের সম্বল। এজন্য তাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগীতা চেয়েছেন তারা।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন বলেন, শিশু রিমির ডাক্তারি পরীক্ষার কাগজপত্রগুলো আমি দেখেছি। শিশুটিকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করতে চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন। সবার সহযোগীতা পেলে ফুটফুটে শিশুটির হেসে খেলে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।
0Share