নিজস্ব প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর
ঈদ উপহার হিসেবে একশ নারী পুরুষ পেলো সেলাই মেশিন, ছাগল, ভ্যান গাড়ি এবং ক্ষুদ্র দোকানের মালামাল। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ নারী এবং দরিদ্র পুরুষদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করে, সেচ্ছাসেবী সংগঠন “স্বপ্ন নিয়ে”।
এসময় ৬০ জন নারীকে সেলাই মেশিন, ২৫ জন নারী একটি করে ছাগল, ১০জন দরিদ্র পুরুষকে ভ্যানগাড়ি এবং ৫জনকে ক্ষুদ্র দোকানের মালামাল প্রদান করা হয়। ঈদ উপলক্ষে পাওয়া এসব উপহার দিয়ে তারা নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মনু মার্কেট এলাকায় স্বপ্ন নিয়ে’র ব্যানারে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বপ্ন নিয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান, আইন উপদেষ্টা ইসতিয়াক হোসেন জিপু, আরিফ, ইলিয়াছ হোসেন প্রমুখ।
জানা গেছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে একটি উদ্যোগ নিয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন “স্বপ্ন নিয়ে”। উদ্যোগ হিসেবে প্রতিবছর রমজানে নারীদেরকে সেলাই মেশিনসহ উপকারভোগীদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এবার ৬০ জন নারীকে সেলাই মেশিন, ২৫ জন নারী-পুরুষকে ছাগল, ১০ টি ভ্যানগাড়ি দেওয়া হয়। এছাড়া ৫ জন ব্যক্তিকে দোকানের মালামাল কিনে দিয়ে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
সেলাই মেশিন পেয়ে দরিদ্র্য শিক্ষার্থী সুর্বনা আক্তার জানান, তার বাবা জেলে । সংসারের খরচের বাহিরে তার লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারে না। ’’স্বপ্ন নিয়ে’’
এর পক্ষ থেকে দেয়া সেলাই মেশিনের মাধ্যমে আয় করে সেটায় সে তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবে।
মাহমুদা হাসান মুনা বলেন, আমি সেলাইয়ের কাজ শিখেছিলাম। কিন্তু মেশিন না থাকায় এখন কাজ করতে পারি না। এখন একটি সেলাই মেশিন পেয়েছি। এতে কাজ করে উপার্জন করতে পারবো।
পান্না বেগম বলেন, আমার স্বামী দিনমজুর। ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে থাকতে হয়। স্বপ্ন নিয়ে’র সেলাই মেশিনটা আমার খুব উপকার হয়েছে।
তাহমিনা আক্তার বলেন, সেলাই মেশিন পেয়ে আমি খুশি। সেলাই কাজ করে আমি সংসার চালাতে পারবো। পাশাপাশি নিজের পড়ালেখার খরচও চলবে।
স্বপ্ন নিয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, ২০১৭ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে আমরা পঙ্গু মানুষকে কৃত্রিম পা সংযোজন, অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বীসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ পরিচালনা করে আসছি। এবার আমরা ১০০ জনসহ প্রায় ২শ ৪০জন মানুষকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহযোগীতা করেছি। এরমধ্যে সেলাই মেশিন, ছাগল ও দোকানের মালামাল কিনে দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার ১২৭ জনকে আমরা কৃত্রিম পা সংযোজন করে দিয়েছি। গত বন্যায় দেশের ২৫ হাজার ভানবাসী মানুষকে সহায়তা করেছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
177Share