‘প্রতিটি প্রাণে উষ্ণতা ছড়াক’ এমন স্লোগানে রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত আলোকিত পাঠাগারের উদ্যোগেও পাঠাগার প্রাঙ্গনে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরনের আয়োজন করা হয়েছে । প্রায় দুই শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে কম্বল প্রদান করা হয়।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন মানিক, ইউপি সদস্য সফি উল্লাহ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন মানিক বলেন, রামগতি থেকে নদী ভাঙনের ফলে বাস্তুহারা পরিবারগুলো কুশাখালী ইউনিয়নে আশ্রিত। তাদের জন্য আলোকিত পাঠাগার এর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এমন পরিবারের সন্তানদের পড়াশুনার জন্য আরিফ চৌধুরী শুভর উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তার স্কুল ও পাঠাগার এই ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের জন্য, মানুষের জন্য মঙ্গলজনক বলে আমি মনে করি। আমার পরিষদ এই ইউনিয়নের এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পাশে সবসময় থাকবে।
আলোকিত পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ চৌধুরী শুভ বলেন, গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে আলোকিত পাঠাগার এবং রামগতির নদী ভাঙন পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে পড়াশোনার জন্য আলোকিত স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যখনই সুযোগ হয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো মেঠোপথের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহৎ হৃদয়ের মানুষেরা আলোকিত পাঠাগারকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলে এইসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। আশাকরি তাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। কম্বল দেয়ার জন আলোকিত পাঠাগার পরিবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখযোগ্য যে ২০১৫ সালে আলোকিত পাঠাগার এবং ২০১৩ সালে আলোকিত স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে আলোকিত স্কুল এর শিক্ষার্থী সংখ্যা দেড় শতাধিক। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পড়াশোনার করছে এই প্রতিষ্ঠানে।
0Share