ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার পেয়েছেন কালের কণ্ঠ’র সিনিয়র রিপোর্টার ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা আরিফুর রহমান। জাতীয় সংবাদপত্র বিভাগে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেছেন। আরিফুর রহমানের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়।
সোমবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে টিআইবি ‘তথ্য অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। মুক্ত আলোচনার পরপরই চার বিভাগে দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র বিভাগে বিজয়ীদের প্রত্যেককে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও এক লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে। আর বিজয়ী প্রামাণ্য অনুষ্ঠানকে দেওয়া হবে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও এক লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক। টিআইবি ২২ বছর ধরে ‘দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার’ দিয়ে আসছে।
এ ছাড়া আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন যশোরের ‘দৈনিক গ্রামের কাগজ’ পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফয়সাল ইসলাম ও চট্টগ্রামের সাপ্তাহিক ‘চাটগাঁর বাণী’ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। টেলিভিশন (প্রতিবেদন) বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার সফিক শাহিন। আর টেলিভিশন (প্রামাণ্য অনুষ্ঠান) বিভাগে বিজয়ী হয়েছে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘সার্চলাইট’।
জাতীয় সংবাদপত্র বিভাগে টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারে বিজয়ী হওয়া ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার আরিফুর রহমান ‘এডিপিতে শর্ষেয় ভূত’ শিরোনামে গত বছর ১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর ধারাবাহিকভাবে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য এবছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি তার প্রতিবেদনে সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্ম তদারকি ও দেখভালের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা ‘বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ’ (আইএমইডি)-এর নজিরবিহীন লুটপাটের মহাযজ্ঞচিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া যেই পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ শুমারির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এডিপির প্রকল্পগুলো নেওয়া হয় তাদের দুর্নীতি-গাফলতির চিত্রও তুলে ধরেন ওই প্রতিবেদনে।
আরিফুর রহমান ২০০৮ সালে বার্তা সংস্থা এনএনবি’র মাধ্যমে সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। পরে তিনি বাংলাবাজার পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আমাদের সময়ে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি কালের কণ্ঠ ও ঢাকা ট্রিবিউনে কাজ করেছেন। বর্তমানে কালের কণ্ঠে কর্মরত আছেন।
0Share