মিসু সাহা নিক্কন: রামগতি উপজেলার রামগতি-মোহাম্মদপুর সড়কের মীর রোডের একি অবস্থা। ব্যস্ততম সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার দীর্ঘ মাস অতিবাহিত হবার পরেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ভাঙ্গার কারণে লক্ষাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে যাতায়াত করছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে প্রায়ই রামগতিবাসীকে দুর্ঘটনাসহ চরম দূভোর্গের শিকার হতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে এ সড়কটির করুন অবস্থা হয়ে যায়। সড়কটিতে বড় বড় গর্তে একহাঁটু পানি ও কাঁদামাটির স্তুপ যেনো পা ফেলার উপযোগ নেই। সাধারণ মানুষ হাঁটুর উপরে কাপড় তোলা সহ নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে সড়কটি পারাপার হচ্ছে এবং পড়ছে বিড়ম্ভনায়।
এলাকাবাসী জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী সিএনজি, বাস, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক রামগতি হয়ে মোহাম্মদপুর, টাংকি বাজার, সেন্টার বাজার ও নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটে দ্রুত সময়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক। কিন্তু ওই সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়ত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য চরম বিপাকের মধ্যে আছে উপজেলাবাসী।
ব্যবসায়ীরা জানান, রামগতি-মোহাম্মদপুর সড়কের অবস্থা বেহাল, বড়খেরী ভূমি অফিসের সামনে থেকে ১কি.মি. রাস্তা সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরী। রাস্তাটি নিচু হওয়াতে প্রায় সব সময়ই পানি থাকে, আর বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ আমরা সাধারণ জনগন চরম দূর্ভোগের মধ্যে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
্এ বিষয়ে ৯নং চরগাজী ইউ.পি. তাওহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, কিছুদিন আগে আমার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে সড়কটি বেশ কিছু স্থানে সংস্কার করেও কোন কাজ হয়নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষ অবগত আছেন।
রামগতি-মোহাম্মদপুর সড়কের মীর রোডটি অতিদ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে জন দূর্ভোগ কমাতে এবং মোহাম্মদপুর, টাংকি বাজার, সেন্টার বাজার ও নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাটে দ্রুত সময়ে মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলের জন্য উপজেলাবাসী অতিদ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করে।
0Share