নিজস্ব প্রতিনিধি:: পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ফেরাতে এবং মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন তারেক হোসেন বাবু (২১)। কিন্তু তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হলনা। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৮টায় তার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছে। এ সময় সন্তানের লাশ জড়িয়ে ধরে মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের বুক ফাটা কান্না আর আহাজারি করতে দেখা যায়। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। গত ১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় বাবু। তারেক হোসেন বাবু লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের (সর্দার বাড়ি) বেলাল হোসেনের বড় ছেলে।
নিহতের বাবা বেলাল হোসেন জানান, ২০১৫ সালের এপ্রিলে তারেক হোসেন বাবুকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠান। অনেক ধার-কর্জ করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছেন পরিবারের অভাব অনটন আর দুঃখ-কষ্ট গোছানোর জন্য। তার দুই মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে বাবু তৃতীয় সন্তান। আফ্রিকায় যাওয়ার পর অনেকদিন সেখানে বেকার ছিল বাবু। এলাকার অন্যান্য সহপাঠীদের সহযোগিতায় অনেক পরে তার একটা চাকুরী হয়। কিন্তু এখনো ধার-কর্জ করা দেনা শোধ করতে পারেননি।
গত ১ নভেম্বর বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারেন সেখানে বাবু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। পরিবারের একমাত্র বড় সন্তানের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওইদিন থেকে বাবুর পরিবারের চলতে থাকে শোকের মাতম। পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মরত অন্যান্য সহপাঠীদের সহযোগিতায় তারেক হোসেন বাবুর মরদেহ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বুধবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। বেলা ১১টায় জানাজা শেষে তার মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
0Share