শাকের মোহাম্মদ রাসেল:: “মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা” ২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এমন সুর বেজে ওঠে দেশসহ বিদেশেও। কিন্তু এ সুর বাজাতে গিয়ে হতাশায় ভোগেন লক্ষ্মীপুরের বহু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কারণ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। বছরের পর বছর বাঁশের কঞ্চি আর কলা গাছ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারই একমাত্র ভরসা তাদের। বইতে ভাষা শহীদদের ইতিহাস পড়ে- বুঝলেও বাস্তবে তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে এখনো পারেনি এসকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ। তাই তাদের আক্ষেপ কলাগাছের মিনার আর কতকাল ? কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কিংবা সরকারী ভাবে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার।
জেলা শিক্ষা অফিস তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৪১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার। এতে করে কোমলমতি শিশু ও তরুণ ছাত্রছাত্রীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলে এসব প্রতিষ্ঠানে বাঁশ ও কলা গাছের অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে শিশু ও তরুণরা শহীদ দিবস পালন করেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের কোন প্রজেক্ট নেই। একটি প্রজেক্ট অনুমোদন হলেও পরবর্তীতে তা বাতিল হয়ে যায়। তবেসরকারী ভাবে কোন প্রজেক্ট আসলে পর্যাক্রমে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করে নতুন প্রজন্মকে ভাষা শহীদের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবে। এমনটাই আশাবাদী সংশ্লিষ্টদের।
0Share