চন্দ্রগঞ্জ প্রতিনিধি: মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) লক্ষ্মীপুরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় তিনি জেলা ষ্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির ভাষন দেবেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার ওই জনসভায় চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলা হিসেবে বাস্তবায়নের দাবিতে যোগ দেবে ওই থানা এলাকার সর্বস্তরের লাখো জনতা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকাজুড়ে চলছে সাজ সাজ রব। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত হাজার হাজার পেষ্টুন ও অসংখ্য তোরণ বিলবোর্ড ছেয়ে গেছে থানা এলাকার আনাছে কানাছে।
প্রায় ৩ বছর আগে ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে এ থানাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করায়, এবার এলাকাবাসীর প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী এ থানাকে উপজেলা হিসেবে বাস্তবায়ন করবেন। দূভোর্গ লাঘব হবে ওই এলাকার সাড়ে চার লাখ বাসিন্দার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলা উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্মীপুরে শুভাগমন উপলক্ষে চন্দ্রগঞ্জ থানাবাসীর পক্ষ হতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। লক্ষ্মীপুরের প্রাণকেন্দ্র চন্দ্রগঞ্জ থানা। অথচ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধার অভাবে আজ এ থানা এলাকাবাসী বঞ্চিত। তাই চন্দ্রগঞ্জ থানাকে প্রাণবন্ত রাখার জন্য উপজেলা ঘোষণা করা অতীব জরুরি।
জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াছমিন লিকা বলেন, বঙ্গববন্ধু শেখ মজিবের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চন্দ্রগঞ্জ থানাবাসীর পক্ষ হতে শুভেচ্ছা। স্বাধীনতার পর হতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রকার উন্নয়মূলক কর্মকান্ডে চন্দ্রগঞ্জ বাসীর অবদান অপরিসীম। অথচ চন্দ্রগঞ্জবাসী উপজেলাভিত্তিক সকল প্রকার সুযোগ হতে বঞ্চিত। তাই চন্দ্রগঞ্জ থানাবাসীর প্রাণের দাবি ও কাঙ্খিত স্বপ্ন চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলায় উন্নতি করা হোক। এ বিষয়ে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্মীপুর জেলায় শুভাগমনে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক এবং গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমরা এই মহান নেত্রীর উদ্দেশে জানাচ্ছি, ১৯৭২ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। চন্দ্রগঞ্জ থানাসহ আশপাশের উপজেলাসমূহের অবহেলিত গ্রামীণ, দরিদ্র ও স্বল্প সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর প্রায় চার হাজার ছাত্র-ছাত্রী এ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি (বি.এম) শাখা, স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তাই এলাকার জনগনের প্রানের দাবি চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলা ঘোষণাসহ চন্দ্রগঞ্জ হেড কোয়াটারে অবস্থিত এই কলেজকে জাতীয়করণ করা হোক। শিক্ষা বান্ধব সরকারের অগ্রযাত্রায় আগামী প্রজন্মের জন্য সোনালী আলো ছড়িয়ে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাত্রা শুভো হোক এ কামনা আমাদের সবার।
কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধক্ষ সরকার মো. জোবায়েদ আলী বলেন, লক্ষ্মীপুর বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় জেলা। জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, দারিদ্র্য, বন্যা ও খরা এ অঞ্চলের নিত্যসঙ্গী। কালের বিবর্তনে লক্ষ্মীপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও সীমান্তবর্তী চন্দ্রগঞ্জ এলাকার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নেতৃত্বদানসহ শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে চন্দ্রগঞ্জ একটি বহুল আলোচিত ও স্বনামধন্য স্থান। এখানে প্রতিষ্ঠিত বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় তার সাক্ষ্য বহন করে। উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক থানা প্রতিষ্ঠা ও সীমান্তবর্তী নোয়াখালী জেলার বিপুল জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক নির্ভরশীলতা চন্দ্রগঞ্জের গুরুত্বকে আরও প্রশারিত করছে। তাই, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলা পর্যায়ে উন্নতিকরণ একান্ত জরুরি ও সময়োপযোগী। চন্দ্রগঞ্জ থানা ১৪ দলীয় জোটের সভাপতি এম ছাবির আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চন্দ্রগঞ্জ থানাবাসীর পক্ষ হতে জানাই শুভেচ্ছা। সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় চন্দ্রগঞ্জে ডিজিটাল ছোঁয়া স্পর্শ করেনি বললেই চলে। ফলে লক্ষ্মীপুর জেলা ও উপজেলার প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলায় উন্নতি করার বিকল্প নেই।
0Share