নিজস্ব প্রতিনিধি: পায়ু পথে বাতাস ঢুকিয়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ বছরের সেই শিশু শ্রমিক মিলন হোসেনের পড়ালেখা ও পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে ফিরে আসার পর জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম তার সম্মেলন কক্ষে মিলনের চিকিৎসা খরচ বাবদ তার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পাশাপাশি নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতকে ছাড় না দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মীর শওকত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাটে গত মঙ্গলবার রাতে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসর মেশিন দিয়ে তার পেটে বাতাস ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তির পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে মিলনকে আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বুধবার দুপুরে তারা লক্ষীপুরে পৌঁছান।
এ দিকে ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত রিয়াজ হোসেনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে থানায় শিশু নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা হিসেবে নিয়মিত মামলা করা আসামি কে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার মিলন কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে ও স্থানীয় মজু চৌধুরীর হাটে অবস্থিত সেলিমের হোটেলে কাজ করতেন।
লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সব সময় আপডেট থাকুন । লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন।
0Share