নিজস্ব প্রতিনিধি: মুক্তজ্ঞান চর্চা ও চিন্তা এবং শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করার একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সুফির বাজার গণগ্রন্থাগার। রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের সুফির বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন সুফির বাজার গণগ্রন্থাগারটি প্রত্যহ সকাল থেকে রাত অবধি মুখরিত থাকে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর পেশাজীবী মানুষের পদচারনায়। যার ফলে জ্ঞান বিতরনের নিরব বাতিঘর হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি এটি শিক্ষার্থী ও চাকুরিজীবীদের একটি মিলনকেন্দ্র ও বলা চলে। মুক্তিযুদ্ধ, আত্মজীবনী, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও ধর্ম সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ১৮শ বই ও ৩৭০ জন নিয়মিত সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত গণগ্রন্থাগারটি সম্পূর্ণ স্হানীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গ্রন্থাগারের সার্বিক কার্যনিবাহের জন্য রয়েছে ২৭ সদস্য বিশিষ্ঠ্য একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ, এছাড়াও রয়েছে ২৫ সদস্যর উপদেষ্টা পরিষদ ও ১৭ জন আজীবন সদস্য।
সুফির বাজার গণগ্রন্থাগারের স্বপ্নদ্রষ্টা তথা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক মেধাবী ছাত্র মো: এমদাদ হোসেন। যিনি ১০ম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় সহকারী জজ/ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উওীর্ন হয়ে বর্তমানে নিয়োগের অপেক্ষায় আছেন।
গ্রামে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানতে চাইলে মো: এমদাদ হোসেন লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ থেকে তিনি স্বপ্ন দেখতেন কিভাবে গ্রামের পিছিয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরামর্শদান ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ (বিশেষত: থাকা ও খাওয়া) লাগবে কাজ করা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পডুয়া শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে এসব কার্যক্রমেরর স্হায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক রুপদানের লক্ষ্যে “শিক্ষার প্রতি অনুপ্রেরনাই আমাদের মূল লক্ষ্য”এই স্লোগান কে ধারন করে একটি সম্পূন্ন অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও স্বেচ্চাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০১৫ সালের জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা লাইব্রেরীটি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাঠক সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রন্হাগারের আয়োজনে প্রতিবছর ঈদ পুনমির্লনী ও কৃতিশিক্ষার্থী সংবর্ধনা, গুনীজন সংবর্ধনা, বাল্যবিবাহ, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আলোচনাসভা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গ্রন্থাগারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হয় উপদেষ্টাদের অনুদান ও সদস্যদের মাসিক চাঁদা থেকে। গত ৫ নভেম্বর সুফির বাজার গণগ্রন্থাগারটি সংস্কতি মন্ত্রনালয়ের জাতীয় গ্রন্হকেন্দ্র কতৃক নিবন্ধিত হয় ( নং জাগ্রকে- ০১৬৯)।
গ্রন্হাগারের পরিচালনার ব্যায় নির্বাহসহ চলমান সামাজিক সামাজিক গণসচেতনতামূলক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও বৃহৎ পরিসরে করার জন্য সুফির বাজার গণগ্রন্থাগারের সভাপতি মো: এমদাদ হোসেন সমাজের বিওবানদেরকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছেন।
0Share