নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পয়লা ফাল্গুন ছিল বসন্ত উৎসব আর ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার ভালোবাসা দিবস। এ দু দিনে প্রিয়জনের মন রাঙাতে এবং ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ ছিল। প্রিয় মানুষের মনের খোরাক মেটাতে সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে তরুণ-তরুনীদের মাঝে ফুল বিনিমিয় হয়েছে। আর সেটার পরিমাণ ছিল বিগত বছরের তুলনায় ব্যাপক।
যেটা দেখা গেছে এ দুদিন ফুলের দোকানের ভীড় থেকে। লক্ষ্মীপুর জেলায় ফুলের সবচেয়ে বড় বাজার রায়পুর, দালালবাজার, লক্ষ্মীপুর শহরের ৩টি ফুলের দোকান, রামগঞ্জ এবং চন্দ্রগঞ্জ। ক্রেতাদের অধিকাংশ ছিল তরুণ। তরুনী এবং নব বিবাহিত দম্পতিরে কে ও দেখা গেছে। তবে ব্যতিক্রম ছিল কমলনগর এবং রামগতি। এ ২ উপজেলায় ফুলের কোন দোকান নেই।
আর এই দুই দিবসকে ঘিরে লক্ষ্মীপুরে একটি ভালবাসার গোলাপ বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা করে। রজনীগন্ধ ১০, গ্লাডিওলাস ২০, চায়না গোলাপ ২৫, গাঁদা ৩ টাকা, নারীদের মাথায় দেয়ার ফুলের রিং ১০০ টাকা করে। টানা দুই দিবসকে ঘিরে লক্ষ্মীপুরের ফুলের দোকান গুলো ছিল জমজমাট।
কয়েক বছর ধরে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ফুল বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় সুযোগ হিসেবে ধরে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ২১ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পহেলা ফাল্গুনে খোপায় তাজা ফুল দিয়ে ছেয়েছে অনেক তরুণী। তাই এ দু’দিনে ফুল বিক্রির হার বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে বিশেষ এই দিবস পালনে ফুল হয়ে উঠেছে প্রধান আকর্ষণ।
লক্ষ্মীপুরের ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, বসন্তের প্রথম দিন, ভালোবাসা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলের সর্বাধিক চাহিদা থাকে। একই মাসে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বড় তিনটি দিবস হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন বিয়েশাদিতে এখন সারা বছেই ফুলের চাহিদা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ফুলের দোকানে যে সব ফুল পাওয়া যায় তার মধ্যে আছে, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জুঁই, বেলী, গাঁদা, লিলি, থাই-চায়না, ইন্ডিয়ান গোলাপ, অর্কিড, কিসিমসিমা মিম, রজনীগন্ধ্যা, চেরিগেণ্ডা, ওয়েসস্টার, দেশি- বিদেশি নানান ফুল বিক্রি হচ্ছে।
0Share