তাবারক হোসেন আজাদ: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিহত বাবুল মিয়া (৪৫) বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী সাথী বেগম, সপ্তম শ্রেনীর একটি মেয়ে ও ছয় বছরের একটি ছেলেসহ মা ও স্বজনদের আহাজাড়িতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নিহত বাবুল মিয়া উপজেলার ১০নং রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের রাড়ী বাড়ীর মৃত আহ্সান উল্যার ছেলে। সৌদি প্রবাসী নিহত বাবুল মিয়া বাড়ীতে বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ছয় মাস বেকার থাকার পর পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে ধার দেনা করে প্রায় তিন মাস আগে বাবুল মিয়া ড্রাইভিং ভিসায় সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে যান। সেখানে আড়াই মাস বেকার থাকার পর গত ৩০ মার্চ নতুন করে চাকুরী পান বাবুল। চাকুরী পেয়েই মালিকের গাড়ী নিয়ে সড়কে বের হোন। পথিমধ্যে গাড়ীর পেছনের চাকা অকেজ হলে চালকের আসন থেকে বাবুল জানালার ফাঁক দিয়ে উকি মেরে দেখেন। মুহুর্তেই বিপরীত থেকে আসা দ্রুতগামী আর একটি গাড়ী তার মাথা বিচ্ছিন্ন করার সাথে সাথে বাবুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। ৩১ মার্চ রাতে সৌদি আরব থেকে বাবুলের গ্রামের বাড়ীতে সংবাদ আসলেই শোকের মাতম শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন বাবুলের লাশ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছয় লক্ষ্য টাকা যোগাড় করতে না পারায় বাবুলের লাশ দেশে আনতে বিলম্ব হচেছ।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী সুমন জানান, নিহত বাবুল সহজ-সড়ল ও ভাল মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের স্বজনদের সাথে আমরাও শোকাহত। তার লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
0Share