নিজস্ব প্রতিনিধি; বাংলা নতুন বছর ১৪২৫-কে বরণ করে নিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে লক্ষ্মীপুরে। নতুন বছরকে বরণ করতে লক্ষ্মীপুরের শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে চলছে নানা আয়োজন। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি আয়োজন চলছে বৈশাখী মেলারও। লক্ষ্মীপুরে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও শিল্পীরা। আবহমান বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলতেই তাদের এ ব্যস্ততা।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সকলের কাছে ফুটিয়ে তুলতে নতুন করে তৈরি করছেন বিভিন্ন মুখোশ, রাখি ও মুকুট। এছাড়া কাজ করছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সংগঠক ও শিল্পীরা। বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ত কুমার পাড়াও। কারণ তাদের তৈরি মাটির তৈজসপত্র, খেলনা দিয়েই বরণ করা হবে পহেলা বৈশাখকে। সেখানে চলছে মাটি দিয়ে খেলনা তৈরির কাজ। বৈশাখী মেলায় যেতে জোরে-শোরে চলছে শেষ মুহূতের্র প্রস্তুতি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকায় কুমারপাড়া। এখানকার কয়েকটি পরিবার মৃিশল্পের সঙ্গে জড়িত। বৈশাখকে সামনে রেখে কুমার পাড়ায় মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুদের নানা ধরনের খেলনা। খেলনার মধ্যে রয়েছে হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, পাখি, ঘর, নৌকা, মাছ, বউ, কলসি, ষাঁড়, হাতি-ঘোড়া, হরিণ, খরগোশ ও ব্যাংকসহ নানা শো-পিস। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকে কয়েক দিন প্রতিবছরের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে দালাল বাজার, কালী বাজারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রা-১৪২৫ পহেলা বৈশাখের সকাল থেকে শুরু হবে বৈশাখ বরণের কর্মসূচি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হবে। শোভাযাত্রা শেষে পহেলা বৈশাখে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে বাউলগান, নৃত্যানুষ্ঠান, নাটকসহ নানা আয়োজন। পাশাপাশি জেলার প্রতিটি উপজেলাতে রয়েছে বৈশাখী মেলার আয়োজন। বর্ষবরণ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ।
0Share