নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে স্পিড বোর্ড ও ট্রলার। সরকার অনুমোদিত সি ট্রাকে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনা পারাপার করছে অসাধু ব্যবসায়ী ও ঘাট মালিকরা। এতে দুর্ঘটনায় হতাহতের আশঙ্কা করছে যাত্রী ও স্থানীয়রা। ১৬ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ মাস মেঘনা নদী উত্তাল থাকার কারণে ট্রলার, স্টিমার, স্পিড বোর্ডসহ সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় যাত্রী পারাপারের জন্য সরকার অনুমোদিত দুটি সি ট্রাক খিজির- ৫ ও খিজির- ৮ চলবে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী হাট ফেরি ঘাট দিয়ে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ স্পিড বোট ও ট্রলার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোলা-বরিশালের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ৫/৬ টা ট্রলার ও স্পিড বোর্ড ছেড়ে যাচ্ছে মজুচৌধুরী হাট ঘাট থেকে।
এছাড়া অনুমোদিত সরকারী দুটি সি ট্রাক এসটি খিজির-৫ ও এসটি খিজির-৮ এর ধারণ ক্ষমতা দুইশ যাত্রী। সেখানে ৫ থেকে ৭শ যাত্রী নিয়ে নদী পাড়ি দেয়। অসাধু ব্যবসায়ী ও ঘাট মালিকদের সিন্ডিকেটে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা নেয়া হচ্ছে। কোন কোন সময় এক হাজার যাত্রীও তোলা হয় সী ট্রাকে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীরা বলেন, কিছুদিন আগে যেখানে ভাড়া ছিল ৮০ টাকা সেখানে সি ট্রাক চালু হওয়ার পর ভাড়া ১২০ টাকা নির্ধারিত হলেও প্রকৃত পক্ষে ভাড়া নেয়া হচ্ছে যাত্রী প্রতি ১৫০ টাকা করে। এতে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার ও যাত্রী হয়রানির বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share