নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়পুর: প্রবাস জীবন একা ভালো লাগে না । এবার বাড়ীতে আসলে আর বিদেশ যাব না । সবাই একসঙ্গে রোজা রাখবে ও ঈদ উদযাপন করবে এ বলে সবার খোঁজখবর নিয়ে শেষবারের মত ফোনে কথা বলেন। আর কখনো কথা বলবেন না ও তাকে পাওয়াও যাবে না। শনিবার রাত ৮ টায় মৃত্যুর পাঁচ মিনিট আগে স্ত্রী- মেয়ের সাথে ওই কথাগুলো বলেই সড়ক পার হওয়ার সময় ২০ বছর প্রবাসে থাকা সৌদি আরবের তায়েফ শহড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। নিহত আজাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের কবিরহাট এলাকার আব্দুল করিম বেপারি বাড়ীর মৃত হেদায়েত উল্লার ছেলে।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আজাদে পরিবার,স্বজন,এলাকাবাসীর মাঝে শোকের মাতম বইছে। রোববার নিহতের বড় ভাই জনকল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহআলম জানান, ২০ বছর ধরে আজাদ প্রবাস জীবন কাটছে। দেড় মাস আগে ছুটি শেষে সোদি আরবের তায়েফ শহড়ে চলে যান। সেখানে ঠিকাদারি তথা কনষ্ট্রাকশনের কাজ করেন। তার স্ত্রী খাদিজা বেগম,চার মেয়ে ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী একমাত্র ছেলে রয়েছে। শনিবার রাত ৮ টার সময় আমার ছোট বোনের (আজাদের স্ত্রী) সাথে কথা বলেন । তার ৫ মিনিট পরই সংবাদ আসে সড়ক পারাপারের সময় বাসের চাপায় আজাদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন এম্বুল্যান্সের মাধ্যমে সেখানকার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। লাশ বর্তমানে সৌদি হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে। লাশ দেশে আনার পক্রিয়া চলছে। রায়পুরের বামনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ ভালো মানুষ ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবারের সাথে আমরাও শোকাহত। লাশ দেশে আনতে আপ্রান চেষ্টা হচ্ছে।
0Share