সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বুধবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বানের জলে রিপোর্টারদের বিরামহীন ছুটে চলা

বানের জলে রিপোর্টারদের বিরামহীন ছুটে চলা

বানের জলে রিপোর্টারদের বিরামহীন ছুটে চলা

মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, লক্ষ্মীপুর : রাস্তায়,উঠোনে,ঘরে। কোমর পানি,বুক পানি,হাঁটু পানি। নেই কোথাও এতটুকুন শুকনো ভূমি। যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। পানির নীচে সড়ক,বসত ঘর,পাকের ঘর,শৌচাগার,গোয়াল ঘর,মসজিদ,মন্দির,দোকান ঘর।

অথৈ পানির তল থেকে কেবল মাথা উঁচিয়ে আছে বাগান বাড়ীর লম্বা লম্বা গাছ। গ্রামিন সড়কের মুখে উঁচু কালভার্টটা নিজের অস্তিত্ব কিছুটা জানান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চারপাশে পানির মাঝে কালভার্টটাকে মনে হয়েছে ভাসমান ভেলা। বানভাসি লক্ষ্মীপুরের গ্রামগুলোর চিত্র এখন এমন। প্রায় কোমর পানি মাড়িয়ে আমরা হেঁটে চলেছি গ্রামের সড়ক ধরে।

বানভাসিদের জীবন চিত্রের করুন কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে লেখনির রশদের খোঁজে। পানির তলে ডুবে থাকা গ্রামের বাস্তব চিত্রের খোঁজে আমরা কয়েকদিন থেকেই ছুটে চলছি লক্ষ্মীপুরের গ্রামে গ্রামে। গত ২৪ আগস্ট থেকে উজানের পানি হু হু করে ঢুকে গ্রাস করেছে লক্ষ্মীপুরকে। মেঘনা উপকূলের এ জেলাকে ভাসিয়ে দিয়েছে বানের পানি। তার সাথে টানা বৃষ্টি জীবনের কান্না হয়ে ভাসিয়েছে আরো। অবশ্য ২৪ আগস্ট এর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বৃষ্টি আর মেঘনার জোয়ারের জলে জলাবদ্ধ হয়ে ছিল জেলার কয়েকটি এলাকা।

এরপর বানের পানি এসে ডুবিয়েছে জেলার প্রায় ৯০ ভাগ ভূমি। আসলোতো আসলোই। সরছেনা আর বানের ওই জল। ডুবে আছে গ্রাম। ভেসে চলছে জীবন। ঘরদোর উঠোন জুড়ে জলের সাথে অচেনা এক যুদ্ধে সামিল হয়ে কেমন যাচ্ছে গ্রামবাসীদের দিনগুলো। সেই সব খবরের সন্ধানে আমরা পেশাজীবি গনমাধ্যম কর্মীরাও ছুটে যাই বানভাসিদের দুয়ারে। তাদের সাথে সামসামনি কথা বলি। তাদের চলমান সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র ও বেদনাদায়ক গল্পগুলো আমরা নিজ নিজ মিডিয়ায় প্রকাশ করি। এতে হয়তো কারো কিছু হয়,কারো কিছুই হয়না।

তবে বানভাসিদের কান্না ছড়িয়ে দিতেই আমাদের অবিরাম ছুটে চলা। ফলে বানভাসিদের সাথে সাথে আমরা সংবাদকর্মীরাও দিনের বেশীরভাগ সময় কার্যত: জলেই ভেসে চলি। ২৪ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট টানা ৫ দিন এভাবেই সংবাদের জন্য আমাদের সংবাদকর্মীদের ছুটে চলা। চলছিতো চলছিই। বানের পানে ছুটবো আরও কতদিন জানা নেই কারও। বন্যা কবলিত মানুষের দুঃখগাঁথা শুনতে গিয়ে কত না বলা গল্পের চরিত্র হয়ে যাই আমরাও। যা কোন গল্পগাঁথা হয়ে প্রকাশ হয়না কখনো।

আজ এক বিকেলের তেমনি একটি ছোট গল্প শুনানোর আগ্রহে হাত দিয়েছি লেখনীতে। জানিনা পড়ার ধৈর্য থাকবে কিনা পাঠকের। তবুও লিখলাম। বুধবার,২৮ আগস্ট। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সভা শেষে কিছু ত্রান বিতরন করলাম আমরা শহরের কালু হাজি সড়কে। এরপর কয়েকজন মিলে চা খেতে খেতে হঠাৎ বাংলা টিভি ও মোহনা নিউজের জামাল উদ্দিন রাফি জানালো এখনই একটা প্ল্যান হয়েছে। জেলার অতি কবলিত এলাকা দিঘলীর দিকে যেতে চায় কয়েকজনে। জানালো টিবিএস ও লক্ষ্মীপুর২৪ এর সানাউল্যা সানু এসেছে। তিনি সহ যাবেন। একটা নিউজ শেষ করে তিনি এসেছেন কমলনগর উপজেলা থেকে । সদরের কয়েকটা রিপোর্টের রশদ এর সন্ধানে তিনি আহবান পেয়ে ছুটে এসেছেন।

এমন আহবানে সাড়া দিয়ে রাজি হলো ঢাকাপোস্ট ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর হাছান মাহামুদ শাকিল,বাংলানিউজ ও বাংলাদেশ বুলেটিনের নিজাম উদ্দিন। রাফিতো আছেই। আরো যোগ হয়েছে সোনালী বার্তার জামাল উদ্দিন বাবলু। প্ল্যানটা শুনার পর আমিও একবাক্যে সঙ্গী হতে রাজী হয়ে গেলাম। সঙ্গে নিলাম আরেক ছোটভাই সহকর্মী সালাউদ্দিন সালুকে। কারন তার একটি বাইক আছে। সবাই একত্র হওয়ার পর অবশ্য জানলাম আজকের রিপোর্টিং ট্যুরের মূল পরিকল্পনা নিজামের। সে আবার আমাদের মধ্যে একটু বেশী রিপোর্ট পাগল।

রিপোর্ট এর ভাল গল্প হবে শুনলে সময় জ্ঞান রাখেনা,দুর্গম মসৃন ভাবেনা। যখন তখন যেদিক সেদিক ছুটে বেড়ায়। যাই হোক জানলাম,আগেরদিন শান্তিরহাট সড়ক দিয়ে চেষ্টা করে আমরা দিঘলীর উত্তরে ঢুকতে পারিনি। প্রস্তুতি ছিলনা বলে। এই কারনে তখনই নিজাম প্লান করে। যেভাবে হোক সেদিকে যেতে হবেই। ওইদিন সন্ধ্যায় গ্রুপে শাকিলকে জানায়। সানু ভাই শুনেই রাজি হন। এভাবেই আজকের পাকা প্ল্যান। আমরা লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে বাইকে দিঘলীর প্রবেশমুখ পর্যন্ত যেতে পারবো। তাই তিনটি বাইক নিয়ে রওয়ানা দিলাম। পথে আমি যে বাইকটিতে উঠেছি সেটায় পেট্রোল ভরে নিলাম।

যাই হোক জেলা শহর থেকে ছুটে মান্দারী বাজারের ১ কি. মি. দক্ষিনে মান্দারী-দিঘলী সড়কের মাঝে থেমে যেতে হলো আমাদের। কারন সামনে পানি। বাইক আর চলবেনা। সেখানে একটা ছোট্ট দোকান ও একটা মসজিদ। আমরা সেখানে নেমে বাইক রেখে বানে ভাসা গ্রামে ঢুকার প্রস্তুতি নিলাম। আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল বলে সানাউল্যা সানু প্যান্ট চেঞ্জ করে একটা লুঙ্গী পরে নিল। শাকিল শর্ট প্যান্ট পরলো। আর বাকীরা প্যান্ট কিংবা ট্রাউজার হাঁটু পর্যন্ত যতদূর সম্ভব উঠালো।

সবার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস ব্যাগে ভরে বাইক, ব্যাগ আর জুতা মসজিদের সামনে একজনের জিম্মায় রেখে নেমে পড়লাম আমরা সড়ক ধরে পানিতে। খালি পায়ে পানিতে হাঁটতে হাঁটতে নামতে নামতে আমরা কেবলই পানির গভীরতায় ঢুকে পড়ছি। মনে হচ্ছে যতই এগুই ততই পানি বাড়ছে। সড়কের পূর্ব দিকে সরু একটি খাল উত্তর-দক্ষিনে।

পূর্ব দিক থেকে সড়কের উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি ধেয়ে চলছে পশ্চিমে। আর সড়কের দুই পাশে সব প্রায় ডুবন্ত বাড়ী। আমরা হাঁটছি আর ছবি-ভিডিও ক্যামেরাবন্দী করছি। গ্রামের মানুষ ভিজেভুজে এদিক সেদিক চলছে নিজ নিজ প্রয়োজনে। কেউ আবার ভেলায়,কেউ খোসা নৌকায়। কেউ পানিতে মাচান করে বড়শী বাইছে,কেউ সড়কে জাল মারছে। আমরা হাঁটছি আর কারও কারও সাথে কথা বলছি। বক্তব্য নিচ্ছি তাদের। মাঝে মাঝে একেকটি ত্রানবাহী উঁচু ট্রাক আমাদের পাশ দিয়ে দিঘলী বাজার,দাসেরহাট কিংবা অন্য কোন এলাকায় ফোঁচফোঁচ করে ছুটে যাচ্ছে।

পানিতে চাকা অর্ধেক ডুবে থাকা গাড়ীগুলো যেতে যেতে প্রবল ঢেউ তুলে আমাদের গতর ভিজিয়ে দিচ্ছে। সড়কের ছোট কংকরে আমাদের পায়ের তালু জ্বলে যাচ্ছে। পা দিয়ে ধীরে ধীরে ঠান্ডা শরীরে প্রবেশ করছে। আমরা যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছি সেখান থেকে প্রায় ২ কি. মি. দক্ষিনে এসে জামিরতলী বাজারের অংশটা শুকনো পেলাম। বাজার পেরিয়ে আবার ডুবে থাকা সড়ক ধরে হাঁটা ধরলাম। এটা পশ্চিম জামিরতলি গ্রাম। আধা কি. মি. হাঁটার পর ষাটোর্ধ এক মুরুব্বী আমাদের ধরে প্রায় কাঁদো কন্ঠে তাদের বাড়ীতে ঢুকার জন্য অনুরোধ জানালো। আধাপাকা একটা ও চৌচালা টিনের একটা ঘর তার বাড়ীতে। সেখানে উঠোনে কোমর পানি। ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি।

ইটের উপর খাট বসিয়ে সেখানটায় বুড়া-বুড়ির অবর্ননীয় এক দূর্বিষহ যাপিত জীবন। রান্না হয়না ঠিকঠাক। কেনা হয়না কিছুই। যাওয়া হয়না কোথাও। বুঝা গেল মিডলক্লাস ফ্যামিলির এই ভদ্রলোকের চোখেমুখে ক্ষুধার যন্ত্রনাও কম নয়। বললেন জীবনে কারো কাছে কিছু চাইতে হয়নি। আজ একটু সাহায্য চাই। কি করবো বুঝতাছিনা।

একটা মানবিক স্টোরির রশদ নিয়ে নিলাম আগে। ছাড়তে চাননা যেন। করুন আকুতি নিয়ে শুধুই একথা সেকথায় আটকাচ্ছেন আমাদের। ইতিমধ্যে আমার সহকর্মীরা সেই বাড়ী থেকে বেরিয়ে আরেক বাড়ীর দিকে রওয়ানা হলো। আমি বের হলাম সবার শেষে। তবুও সব কথা যেন না শুনেই ওই বাড়ী থেকে বেরিয়ে এলাম। এসে সড়কের পূর্বপাশে আরো ডুবন্ত এক বাড়ীতে ঢুকার জন্য খালের উপরে কালভার্টে উঠে দাঁড়ালাম। দাঁড়াতেই দেখি জেলা রেডক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক ফারুক ভাই একটা বড় ট্রাকের ভেতর থেকে আমাকে ডাকছেন৷ তার ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে এলাম। তিনি জানালেন ট্রাক ভর্তি শুকনো খাবার নিয়ে কোথায় কোথায় গেছেন। বিতরনে কত কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সেসব। তাকে সংক্ষেপে শুধালাম একটু আগে কথা বলে আসা ভদ্রলোকের সংকটের কথা।

তিনি বিশুদ্ধ পানি,খাবার স্যালাইন সহ দুটো শুকনো খাবারের প্যাকেট দিলেন। প্যাকেটগুলো সালু ও বাবলুকে ধরিয়ে দিলাম ওদের বাড়ীতে পৌঁছে দিতে। এরপর আমরা হাঁটা ধরলাম ফের দক্ষিনে। এর মাঝে আমি,সানু,রাফি,নিজাম,শাকিল, আমরা পৃথক লাইভ দিলাম। সংবাদের চাহিদা আমাদের কেবলই হাঁটিয়ে নিচ্ছে। কোথায় কি পরিমান পানি,কোথায় খানাখন্দ আমাদের খেয়াল নেই। এদিকে বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে।

পেশার দায়,সংবাদের নেশা আর মানুষের আর্ত জীবন আমাদের ব্যাকুল করে তুলেছে। আমরা আরও এগিয়ে চলছি। পশ্চিম জামিরতলি থেকে আরো আড়াই কি.মি. দূরে একই সড়কে আমাদের সাথে দেখা মাঝ বয়সী এক মহিলার। তার সাথে কথা শুরু করলাম আমরা। তিনি জানালেন আরেক করুন গল্প। বলতে বলতে তিনি হেঁটে চলছে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। তাড়াতাড়ি বাড়ী পৌঁছাতে হবে। সেখানে রেখে এসেছেন বৃদ্ধ শ্বশুর। যদিও তার বাড়ীর পথে, বাড়ীতে আর ঘরে পানি আরও বেশী। তিনি হাঁটছেন। আমরা তার এই দুঃসহ জীবনচলার গল্প শুনতে হাঁটছি তার সাথে সাথে। এখানে তার চাইতে আমাদের প্রয়োজন বেশী যেন। যতই যাচ্ছি ততই পানিতে আরো ডুবে পড়ছি।

এভাবে দীঘলী সড়কের পশ্চিম দিকে আরেকটি সড়কে রওয়ানা হলেন তিনি গন্তব্যে। আছিতো আমরাও। কারন গল্পটা শুনা শেষ হয়নি আমাদের। যেতে যেতে মহিলার পিছন পিছন আমরাও বুক পানিতে ডুবে গেলাম। ভ্রুক্ষেপ নেই সেদিকে আমাদের। একপর্যায়ে তিনি তার হালের গল্পটি কোনরকম শেষ করে আমাদের বিদায় জানালেন। পশ্চিমের রাস্তা থেকে উত্তরে,এরপর আবার পশ্চিমের আরেকটা সড়ক ধরে তিনি ফিরে গেলেন বাড়ীর পানে।

ততক্ষনে মাগরিবের আজান দিয়েছে দূরের মসজিদে। আমরা এবার ফেরার জন্য রওয়ানা হলাম। প্রায় ৫ কি.মি. পথ ধরে আমাদের এবার ফেরার হাঁটা অন্ধকারে। এবার আর সংবাদের কোন গল্প নয়। নিজেদের গল্প বলাবলি করতে করতেই আমরা হেঁটে চলছি। ক্লান্তি আমাদের ছুঁয়েছে যেন একটু। ঠান্ডা আরো বেড়েছে শরীরে। সবার হাঁচি কাশিতেই তা ফুটে উঠেছে। জামিরতলি বাজার এসে সবাই মিলে একটু চা খেলাম। ভেজা টাকা দোকানীকে দিয়ে আবার পানির পথ ধরে নেমে পড়লাম সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রায় ৪ ঘন্টা পর আমরা আমাদের বাইকের সামনে এলাম।

মসজিদের ট্যাপে পা ধুয়ে রওয়ানা দিলাম শহরের দিকে যার যার গন্তব্যে। ভেজা শরীর,ভারাক্রান্ত মনে গেঁথে নিলাম কিছু বানাভাসীদের জীবনগল্প। এগুলো আবার সবাই যার যার মতো করে ছোট ছোট গল্প আকারে লিখবো। পরে সচিত্র পাঠাবো নিজ নিজ মিডিয়ায়। হয়তো কোনটি ছাপা হবে,হয়তো কোনটি ছাপা হবেনা। সবগুলো ছাপা হোক বা না হোক, লক্ষ্মীপুরের বানভাসী মানুষের কত করুন গল্প আমাদের রিপোর্টারদের মনে এমন করে ছাপিয়ে ছোপ ছোপ ঘা করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এভাবে রিপোর্টের জন্য ছুটতে ছিটতে শরীর মন ভিজিয়ে ভিজিয়ে আমরা কে কখন কোন অসুখ বাঁধিয়ে বসি নিজের শরীরে। যে অসুখ হয়তো আমাদের পরিবারের আরেকটা করুন গল্পের সূত্র হয়ে যাবে। তা আর জানবেইবা কয়জনে!

( লেখক: জেলা প্রতিনিধি। কালবেলা ও বার্তা২৪)

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের গন্ধব্যপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলো কোডেক

উপকূলীয় অঞ্চলে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করলো কোডেক

সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র আঘাত করতে পারে : এ্যানি

উপকূলের ক্ষতিগ্রস্থ ৩ হাজার কৃষক পেল প্রণোদনা, রবি প্রণোদনা পাচ্ছে আরো ৪ হাজার ৩৭৫জন কৃষক

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com