লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনে শেষ চমক হতে যাচ্ছে সাবেক দুই মন্ত্রী, এমন গুনজন এখন আসনের সবখানেই। প্রার্থী ঘোষণার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণের মাঝে এ ধারণাই পোক্ত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত পৌছেঁ গেছে এ বার্তা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান দুজনই এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
শেষ দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক জোটগুলো ঠিক থাকলে বিএনপি জোট থেকে আ স ম আবদুর রব (ধানের শীষ) এবং আওয়ামী লীগ জোট থেকে মেজর (অব) আবদুল মান্নান (নৌকা) প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদের বাহিরে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক ফরিদুন্নাহার লাইলী মাঠে রয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপির শক্ত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন, রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিউল বারী বাবু। তারাও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ গরম করলেও জোটগত কারণে মনোনয়ন অংকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সবার মুখে-মুখে এখন মনোনয়নয়ন প্রাপ্তি নিয়ে আ স ম আবদুর রব এবং মেজর আবদুল মান্নানের আলোচনা।
তবে কমলনগর-রামগতিতে জেএসডি ও বিকল্পধারা সাংগঠনিকভাবে শক্ত নয়। কিন্তু জোটের রাজনীতিতে কি ঘটে সেটাই দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আ স ম আবদুর রব: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে ১৯৮৬, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদে জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারে যোগ দিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী পরে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী হন। তিনিই রামগতি থেকে প্রথম নির্বাচিত সংসদ সদস্য যিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পূর্ণমন্ত্রী হন।
মেজর (অব:) আবদুল মান্নান: রাজনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যক্তা। তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৮০’র দশকে পোশাক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশে ওয়াইম্যাক্স ইনটারনেট সার্ভিস ব্যবসার তিনি পথিকৃৎ। শুরুতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মেজর (অব:) আবদুল মান্নান ঢাকা-১০ আসন থেকে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরমাঝে ১৯৯১ সালে তার জয়লাভটি ছিল স্মরণীয়। এ সময় তিনি বস্ত্রপ্রতি মন্ত্রী হন। তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে বিকল্প ধারা গঠন করেন। বর্তমানে তিনি এ দলের মহাসচিব পদে রয়েছেন। ২০০৮ সালে কুলা প্রতীকে রামগতি-কমলনগর আসন থেকে তিনি তৃতীয় হন।
জীবনী তথ্যসূত্র: লক্ষ্মীপুর ডায়েরি
0Share