জুনাইদ আল হাবিব: দুই পা অবশ হয়ে চলার শক্তি হারিয়েছেন আইজল। এখন প্রতিদিনই দু পা শুকিয়ে যেন সরু কাঠিতে পরিণত হচ্ছে। তাই সারাদিন শয্যায় পড়ে থাকেন তিনি। আয় রোজকারের পথতো একেবারেই বন্ধ। নদীতে অভিযান দিয়েছে। এক মাস অপেক্ষায় ছিলেন, নদীতে যাবেন।
কিন্তু যে দিনই নদীতে মাছ ধরতে যাবেন, সে দিনই এ মানুষটির জীবনে মহাবিপদ। কোমর থেকে শুরু করে দুই পা অবশ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সে দিন থেকেই দুই পা অবশ তার। আইজলের বয়স ৩০।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর মার্টিনের ৮নং ওয়ার্ডের আবদুর রশিদের বাড়ি। দুই পা শুকিয়ে এমন হয়েছে যে, পায়ের দিকে তাকালে মনে হবে তিনি কোন শিশুর দেহ নিয়ে বেঁচে আছেন। নদীতে মাছ ধরে জীবন চলে, শুনেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন চিকিৎসা খরচ চালানোর মতো তার সেই সামর্থ্য নেই।
তবুও ধার করজ করে মাইজদী পর্যন্ত যাওয়া গেল। সেখান থেকে ডাক্তার বলছে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এ সব গরীব মানুষ কি সে সব পথ-ঘাট চিনে? টাকার অভাবে আজ দুই মাস থেমে আসে আইজলের চিকিৎসা। তবে কি আইজল এভাবেই মরে যাবেন? স্বজনদের আশঙ্কাটা এমনই।
কিন্তু হতদরিদ্র এ আইজল স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুধুই প্রয়োজন সমাজের অর্থশালী মানুষদের একটু আর্থিক সহযোগিতা। আইজলের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ কি আছেন? তাহলে সাড়া দেবার অনুরোধ রইলো।
জুনাইদ আল হাবিব, শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবীশ সংবাদকর্মী। যোগাযোগ: 01788880970
0Share