লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন, তার নিজ ইউনিয়নসহ আশপাশের সকল মানুষের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে (ফ্রি) খাদ্য বিতরণ শুরু করেছেন। তার এ রকম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এলাকাবাসীর মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার (৯এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাস্তার পাশে চাউল, টমেটো, পেয়াঁজ এবং সাবানসহ খাদ্য সামগ্রী উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছিল। পাশে কাগজে লেখাছিল ফ্রি চাউল, ফ্রি সবজি ইত্যাদি।
বিভিন্ন বয়সি নারী পুরুষ যার যার প্রয়োজন মাফিক ওখান থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে গ্রহিতারা কোন ইউনিয়নের বাসিন্দা তাও দেখা হয়নি। কাউকে কোন পরিচয়ও জিজ্ঞাসা করা হয়নি। সবাই স্বাধীনভাবেই খুশি মনে দৈনিক প্রয়োজনীয় খাদ্য নিয়ে চলে যাচ্ছিল। প্রথম দিন প্রায় ৩শ মানুষ এ খাদ্য সামগ্রী নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত থাকা চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতন জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জরুরী সেবা ছাড়া সব ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা। এ অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সকল খাদ্য ও সহায়তা সামগ্রী আমি আমার ইউনিয়নবাসীর মাঝে বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। তবে এবার আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সকল মানুষের জন্য উন্মুক্তভাবে কিছু খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করলাম। আমি কয়েক দিন দেয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো জানান, এরপরেও কেউ যদি বাদ পড়ে আমার ফোনে যোগাযোগ করলে সে নিজে না আসতে পারলে পৌঁছে দেয়া হবে।
চেয়ারম্যানের তাৎক্ষণিক এ ব্যতিক্রম উদ্যোগে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তোরাবগঞ্জ বাজারের এক পান দোকানদার খাদ্য সামগ্রী নেয়ার পর জানান, আমি তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা না হয়েও আজ এখান থেকে খাদ্য পেলাম। তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সারাদেশেই এরকম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করা দরকার।
0Share