একটি পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবদমান পক্ষের হয়ে স্কুলের কোমলমতি ছাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। রোববার ( ১৮ ডিসেম্বর) সকালে কমলনগর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফজলুল করিম বিপ্লব অভিযোগ করে জানান, তাদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ আবুল খায়েরের পুত্র আসিকুল হক সুখনের সাথে ফজলুল করিম বিপ্লব ও সবুজদের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে স্থানীয় তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ একেএম জায়েদ বিল্লাহ গত ১৫ ডিসেম্বর সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ করে কোমলমতি ছাত্রীদের নিয়ে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। একইসাথে মানববন্ধন শেষে সমাবেশ থেকে তাদের পরিবারকে উদ্দেশ্য করে অশালীন গালমন্দ সহ মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন।
ফজলুল করিম বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সভাপতি আবুল খায়ের তার ফুফা এবং আসিকুল হক সুখন ফুফাতো ভাই। চরজাঙ্গালীয়া মৌজার পি.এস ১৩৩ নং খতিয়ানের আর.এস দাগ ভিত্তিক রায় ডিক্রিকৃত জমি এবং বর্তমানে আর.এস খতিয়ানে রেকর্ডিয় জমি ভ‚মি অফিসারের যোগসাজসে গোপনে তাদের ফুফু শাহানা আক্তার চিনু তার নামে ৭৫১৩ নং নামজারি খতিয়ান সৃজন করেন। এবিষয়টির প্রতিবাদ করায় ‘বদমেজাজি’ ফুফাতো ভাই সুখন প্রকাশ্য গালমন্দ ও গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তাদের পূর্বপুরুষ মরহুম হাজী ইয়াসিন মিয়ার চরজাঙ্গালীয়া মৌজার পিএস ১৩৩ খতিয়ানের ৩০৫৯ দাগে অংশ হারে তারা মালিক হয়। যা আরএস খতিয়ানে ৯৩৯৫ দাগে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু আরএস জরিপের সময় তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সভাপতি আবুল খায়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিদ্যালয়ের নামে আরএস ৫২৩৫ খতিয়ানে আমাদের অন্যান্য ওয়ারিশদের অংশ অবৈধভাবে রেকর্ডভ‚ক্ত করেন। যার প্রমাণ স্বরূপ ৩৭০ নং ভ‚ল রেকর্ড হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জায়েদ বিল্লাহ ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে কেফায়েত উল্যা মিয়ার পুত্র ফজলুল হক গংকে ফেরত দেন। বাকী ওয়ারিশদের জমি এখনো ফেরত দেয়া হয়নি। ফেরত চাওয়া হলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে মাহে আলম দিদার, ফজলুল হক সবুজ, মোঃ ইউছুফ, ফয়সল আহমদ প্রমুখ। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম জায়েদ বিল্লাহ দাবি করে বলেন, আবুল খায়ের তার প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি। তার সামনে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও গালমন্দ করে। এতে তার সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি জড়িয়ে আছে। তাই ছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘটনার একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়; মানববন্ধন নয়।
0Share