নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগরে আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা আগামী বছর (২০১৫ সালের শিক্ষাবর্ষে) ষষ্ঠ শ্রেণিতে
শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আতœসাত করতে এ প্রতারনার ফাঁদ পেতেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে (২৪ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম পশ্চিম চর লরেন্স বালিকা দাখিল মাদ্রায়া পরীক্ষা কেন্দ্র গিয়ে তদন্ত করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের সাথে একই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫ থেকে ২০জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলা পরীক্ষায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন (শ্রেণি রোল-১১), তানিয়া আক্তার (শ্রেণি রোল-১২) পরীক্ষা দিতে আসেনি। তবে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মনোয়ার হোসেন শাকিবসহ অন্যদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা ।
ইবতেদায়ী ‘৫ম শ্রেণির সমাপনীর পরীক্ষার্থী আলাউদ্দিন’ জানায়, তার সঠিক নাম মনোয়ার হোসেন শাকিব। সে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার শ্রেণি রোল নং-৪৯। মাদ্রাসার হুজুরেরা (শিক্ষকরা) তাকেসহ একই শ্রেণির দিদার, আজাদ ও মাকছুদসহ ১৫ থেকে ২০ জনকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে।
এদিকে, পরীক্ষার্থী এমরান হোসেনের মায়ের নামের সাথে প্রবেশ পত্রের নামের মিল পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এমরান হোসেন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নুরুল আমিন সাংবাদিকদের কাছে ৫জন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলেছে। অনিয়ম পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share