নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগরের আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ১৯ জন শিক্ষার্থী ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রমান মিলেছে। মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে
দুপুর ২ টার দিকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪জন শিক্ষার্থী সনাক্ত করেছেন। পরীক্ষায় ৫ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে; তারাও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল পশ্চিম চর লরেন্স বালিকা দাখিল মাদ্রায়া পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শন শেষে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বুধবারের (২৬নভেম্বর) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত কমিটিরি সদস্যরা হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার ও পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাকির মাহমুদ।
২৩ নভেম্বর রোববার থেকে ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির সমাপনি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার প্রথম দিন আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৭২ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরিক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা অংশ নেয়া এদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
এ ব্যাপারে হাজী আবুল কাশেম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগরে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা অংশ নেয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪জন শিক্ষার্থীদের সনাক্ত করেন। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণির দুই জন শিক্ষার্থী এক বিষয় ও তিন জন শিক্ষার্থী দুই বিষয় পরীক্ষা দিলেও মঙ্গলবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ইবতেদায়ী ‘৫ম শ্রেণির সমাপনীর পরীক্ষার্থী আলাউদ্দিন’ জানায়, তার সঠিক নাম মনোয়ার হোসেন শাকিব। সে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার শ্রেণি রোল নং-৪৯। মাদ্রাসার হুজুরেরা (শিক্ষকরা) তাদের পরীক্ষা দিতে বলছে তাই তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আমার ছেলে দুই বিষয় পরীক্ষা দিয়েছে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে পরীক্ষা থেকে বিরত রেখেছি।
স্থানীয়দের ধারনা আগামী শিক্ষা বর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বেশি সংখ্যক ছাত্র ভর্তি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপারসহ শিক্ষকরা উপবৃত্তির টাকা আতœসাত করতে এ ফাঁদ পেতেছেন।
আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নুরুল আমিন বলেন, পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি করার আশায় এমনটি করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, তদন্ত করে ১৪ জন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে ২ জন ছাত্র ১৪ জন ছাত্রী। বুধবার (২৬ নভেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেয়া হবে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share