নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ৫ সন্তানের জননী রুনু বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ওই জনীনর লাশ উদ্ধার করে সদর
হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রুনু একই গ্রামের আবদুল মান্নানের স্ত্রী। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিকালে ওই এলাকা থেকে দু’জনকে আটক করলেও তাদের নাম-পরিচয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন পুলিশ। তবে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি হুমায়ুন কবির। ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী নাছির এবং গিয়াস উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
নিহতের মামা মো: আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, রুনুর স্বামী ঢাকা ব্যবসা করার সুবাধে বাড়িতে কেউ না থাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় একদল দুর্বৃত্ত ভাগ্নি রুনুকে নির্মম নির্যাতন করে ধর্ষণের করে। পরে দুর্বৃত্তরা রুনাকে হত্যা করে লাশ বাড়ীর পাশের পুকুরে ফেলে রাখে চলে যায়। বুধবার সকালে বাড়ির লোকজন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। পরে বিষয়টি দুপুরে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনাস্থলে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। প্রথমিক ভাবে প্রমানীত হয়েছে যে এটি হত্যা। তবে ধর্ষণের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এঘটনায় সন্দেহজনক দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের সাথে এইমুহূর্তে তার পরিচয় দেওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলেছে।
0Share