নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবীতে সালমা আক্তার জান্নাত (১৭) নামের এক কিশোরী নববধুকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটায়। দুপুরে পুলিশ ওই নববধুর
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত জান্নাত বটতলী গ্রামের মৃত ছানাউল্যার মেয়ে ও সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহীদ উল্যার স্ত্রী। এ ঘটনায় পর থেকে নিহতের ঘাতক স্বামী খলিল মিয়া পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানান।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রায় ৩ মাস আগে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহীদ উল্যার ছেলে খলিলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধু সালমা আক্তার জান্নাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিদের যাওয়ার নাম করে খলিল প্রায় সময় শুশুরবাড়ী থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে জান্নাতের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ফের দাবিকৃত টাকা না এনে দেওয়ায় শনিবার রাতে খলিল ও তার মাসহ অন্য সদস্যরা কথাকাটাকাটির এক পর্যায় জান্নাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই রাতেই দগ্ধ হওয়া জান্নাতের চিৎকার শুনে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এসে মুমুর্ষবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতেই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসা নিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ২টায় জান্নাত মারা যায়।
নিহতের বড় ভাই রেদোয়ান জানায়, পাষন্ড খলিল ও তার মা জান্নাতকে যৌতুকের দাবীতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এতে তার শরিরের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে। আমার আমার বোনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানায়, নববধু জান্নাতে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তাদের ধারনা। তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন চেষ্টা চলছে। স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পালাতক থাকায় কেউ গ্রেফতার করা যায়নি। এঘটনায় তার পরিবার মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share