লক্ষ্মীপুরের কুশাখালীতে আবুল হাশেম নামে এক খামারির গো-খাদ্য খড়ের গদায় আগুন দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ি ও লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উদ্ধারকর্মীরা চলে যাওয়ার দুপুরে আবারো আগুন জ্বলে উঠে ওই খড়ের গদায়। দুইটি খড়ের গদায় আগুন লেগে স্বপ্ন পুড়লো খামারির। ক্ষতিগ্রস্থ খামারি আবুল হাশেম ওই এলাকার ইব্রাহিম বিএসসি’র বাড়ীর নুরুল ইসলামের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্থ খামারি আবুল হাশেম জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে গরুর খামার দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। তার খামারে চারজন শ্রমিক কাজ করে। প্রতিদিনের ন্যায় গরুগুলোকে খাবার দিয়ে তারা ঘুমোতে যান। ভোররাতে হঠাৎ খড়ের দুইটি গদায় আগুন দেখতে পেয়ে শোরচিৎকার শুরু করে শ্রমিকরা। এসময় তার ১৮ কানি সম্পত্তির খড় পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে এঘটনার সময় তিনি একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মনসুর আহম্মেদ ও আলী আহম্মেদসহ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালীকে খড়ের গদায় আগুন দিতে দেখতে পান। এর আগে ওই প্রভাবশালীরা তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার খামারের গদায় আগুন দিয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্থ খামারি আবুল হাশেম। এতে তার প্রায় চার লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই খামারি। অভিযুক্ত মনসুর আহম্মেদ ঘটনাটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করে ঘটনার সত্যতা মিললে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা জানান।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার ওয়াসি আজাদ জানান, পানির সংকটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া খড়ের আগুন নেভানোর পরও আবারো জ¦লে উঠে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে ফজলুল হক জানান, আগুন দেয়ার বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন ওসি।
0Share