লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোঃ নোমান (২৮) কে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫) নামে আরেক যুবদলকর্মীকেও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের সিএম পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নোমান ওই ইউনিয়নের আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ানের ছেলে এবং জাহাঙ্গীর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের মোঃ চৌধুরী মিয়ার পুত্র ও ছাত্রদল নেতা জিসান বাহিনীর প্রধান মোসলে উদ্দিন জিসানের দেহরক্ষী বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও আশ-পাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের হাজিরপাড়া ইউনিয়নের সিএম ফিলিং স্টেশনের পাশের একটি মাঠে স্থানীয়ভাবে একটি ক্রিকেট (শর্ট ক্রিজ) ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালে হঠাৎ ২০-২৫ জনের মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে উপরের দিকে গুলি করতে করতে মাঠে প্রবেশ করে। তারা নোমান ও মাসুদ নামের দুইজনকে খুঁজতে থাকে। এসময় আতংকে সবাই পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা মাঠে কিছুক্ষন অবস্থান করে প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড গুলি চালায়। পরে তারা মাঠ ত্যাগ করলে লোকজন মাঠে এসে নোমানের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
নিহত নোমানের বুকে, পিটে ও ঘাড়ে তিনটি গুলির চিহৃ এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মোসলে উদ্দিন জিসান ও তার গ্রুপের অন্যান্য সঙ্গীরা এ হত্যাকা- করে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে গত কয়েকদিন আগে জিসান আবু নোমানের বসতঘরও পুড়িয়ে দেয় বলে তিনি জানান।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, ‘চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় নাছির এবং জিসান নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তবে কোন বাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা যাচ্ছেনা।
অন্যদিকে, ঘটনার পর ঘটনাস্থলসহ চন্দ্রগঞ্জ বাজারে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্ত জিসান বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ২০ মিনিটব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
0Share