মোঃ রাকিব হোসাইন রনি, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু অপহরণের দীর্ঘ ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রী সুরমা আক্তার (১১)
কে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের চক বাজার এলাকা থেকে সুরমাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতার মা নুরুননেছা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও অপহৃতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, চরমার্টিন মুন্সীগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুরমা আক্তারকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত ভবানীগঞ্জ চর উভূতি গ্রামের মোঃ হানিফের বখাটে ছেলে আরিফ।
এ বিষয়ে সুরমার পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফের পরিবারের কাছে অভিযোগ করা হলে তারা সুরমাকে আরিফের নিকট বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সুরমার মা তার মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫ জানুয়ারী মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামের চকবাজার এলাকা থেকে সুরমাকে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত সিএনজি অটোরিক্সাযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় আরিফ ও তার সঙ্গীয়রা। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় সুরমার মা নুরুন নেছা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে লক্ষ্মীপুর সদর থানার এস আই আফছার উদ্দিন রুবেলকে মামলাটি তদন্তভার অর্পণ করা হয়।
কিন্তু এ অপহরণের ঘটনার দীর্ঘ ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রী সুরমাকে উদ্ধার ও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আফছার উদ্দিন রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “বিষয়টি প্রেম ঘটিত হতে পারে। তবে যেহেতু ভিকটিমের বয়স কম সেহেতু এটিকে অপহরণই বলা যায়। আমরা দুই বার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হতে পারিনি।” তবে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।
0Share