নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা অপহৃত ইস্রাফিলের লাশ লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জের-নোয়াখালী চাটখিলের সীমান্তবর্তী এলাকার দক্ষিন দিলিয়াই বাজারের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে
উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওদিকে একই উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় সন্ত্রাসী-পুলিশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে। সদর হাসপাতাল থেকে জামাল উদ্দিন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার বুধহাজী বাড়ির সামনে দোকানে বসে বুধবার রাতে সাড়ে ১০টায় চা খাচ্ছিল ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ইস্্রাফিল, সোহাগ, মনির আহমদ,কবির হোসেনসহ অনেকে।
এসময় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি করে ইস্্রাফিলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দু-পক্ষের সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় সোহাগ,কবির হোসেন, মনির হোসন তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আহত সোহাগকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অপর গুলিবিদ্ধসহ অন্যরা পুলিশের হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে রাতে সদর হাসপাতালে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় পুলিশ সোহাগের ভাই জামাল উদ্দিনকে আটক করেছে। অপর দিকে রাতে অপহৃত বশিকপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ইস্্রাফিল হোসেনকে দক্ষিন দিলিয়াই বাজারের পাশ থেকে সকালে ইস্্রাফিলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ইস্্রাফিলের পরিবার দাবী করেছে, রাতে সন্ত্রাসী ও সাদাপোষাকে পুলিশ ইস্্রাফিলকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা পর লাশ দক্ষিন দিলিয়াই ফেলে যায়। ইস্্রাফিল বিএনপি রাজনীতি করার কারনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বশিকপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক তোফায়েল আহমদ জানান, ইস্্রাফিল ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ছিল। তাকে বুধবার রাতে বধুহাজী বাড়ির চা দোকানের সামনে থেকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকে অপহরন করে তুলে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। যুবদলের আরো ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, বিপ্লব বাহিনী ও লাদেন বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উভয় গ্রুপের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসী সোহাগ ও তার ভাই জামালকে হাসপাতালে আটক করা হয়েছে। অপর সন্ত্রাসী ইস্্রাফিলের লাশ চাটখিলের দিলিয়াই বাজার এলাকায় পাওয়া গেছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
0Share