এমআর সুমন: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা ঘর পাচ্ছে ২৫ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে খুশি সবাই। পাকা ঘর বরাদ্দ পাওয়া সবাই ভাঙাচুরা ও অন্যের জমির ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকম দিনানিপাত করে সামান্য আয়ের সংসার চলতো। তারা কখনো আয় রোজগার দিয়ে পাকা ঘর থাকতে পারবেন কোনোদিন স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলে সে কথা রাখে। কথা অনুযায়ী তিনি গরিবদের দিকে তাকিয়েছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুক। তিনি যেন অনেক দিন বেঁচে থাকেন। এভাবেই কথাগুলো বলেন উপজেলার চরাবংশী ইউনিয়নের অসহায় ২৫ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার।
হুনুফা বেগম তাদেরই একজন একই ইউনিয়নের চাউচর গ্রামের অসহায় হোনুফা বেগম। ১৮ বছরেই স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে সন্তান নিয়ে অন্যের জমির ঝুপড়িতে থাকেন হোনুফা। রাস্তার কাজে যোগালির ও অন্যের বাড়ীতে কাজ করে নিজের ও সন্তানের খাবার জোগাড় করেন। তার দুরবস্থার খবর পৌঁছায় ইউএনও সারমিন চৌধুরীর কানে। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি পাকা ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়।
ঘর পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে হোনুফা বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই। আমি খুবই কষ্টে দিনযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি দীর্ঘজীবী হোন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আখতার জাহান সাথী জানান, কয়েকটি ক্যাটাগরিতে একেবারেই ভূমিহীন অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থাকছেন এমন ২৫টি পরিবারকে বাছাই করে পাকা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই রুম, বাথরুম ও কিচেন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। যার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এসব ঘর নির্মাণে যেন কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি না হয়, তা তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসন। সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে।
ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন, ভূমিহীন, হতদরিদ্র মানুষের জন্য রায়পুর ২৫টি ঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী ২৫টি ভূমিহীন পরিবারকে পাকা ঘরের ব্যবস্থা করেছি। এতে সবাই খুব খুশি। আশা করি এভাবেই অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।
0Share