ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ছবি, ঠিকানা, কর্মস্থল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বা ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা যায় এমন কিছু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না মর্মে আদেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট । এ আদেশকে আমরা স্বাগত জানাই। নারী দিবসে এটা একটা সুসংবাদ।
কিন্ত আরো একটা আইন বা আদেশ দরকার:
সেটা হচ্ছে, প্রযুক্তির কল্যাণে পুলিশ যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরপরই তার ছবি ফেসবুকে দিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি মামলার আসামি মানেই যে কেউ প্রকৃত অপরাধি নাও হতে পারে। কিন্ত ফেসবুকে তার এ ছবিটি পোস্ট করার সাথে সাথে তার ব্যক্তি জীবন ও সামাজিক জীবন হেয় প্রতিপন্ন হতে পারে। আমি মনে করি সাধারণ মামলায় যে কোন ব্যক্তির গ্রেফতারের পরপরই তার ছবি ফেসবুকে দেয়া একজন ধর্ষিত নারীর পরিচয় প্রকাশ করার মতোই ঘটনা। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। কিন্ত গুরুতর অপরাধীর ক্ষেত্রে ছবি প্রকাশ করতে কোন অসুবিধা মনে করি না। আর বর্তমান যুগে পুলিশের সরবরাহকৃত ছবিই বেশিভার সংবাদপত্র প্রকাশ করে থাকে।
অন্যদিকে
অনেক সংবাদ মাধ্যম ডাকাতি মামলার আসামিকে সরাসরি ডাকাত লিখে দিচ্ছে। সরাসরি ডাকাতির সাথে জড়িত না থাকা পর্যন্ত কোন আসামি ডাকাত হতে পারে না। আমি মনে করি, আদালতের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ডাকাতি মামলার কোন আসামিকে সরাসরি ডাকাত বলাও একজন ধর্ষিত নারীর পরিচয় প্রকাশ করার মতো ঘটনা।
সুতরাং এ বিষয়গুলোর প্রতিও আদালত যেন দৃষ্টি দেয়।
0Share