আপনি যদি কোন ওয়েব ডিজাইনার বা গ্রাফিক ডিজাইনার হন তাহলে আপনি চাইবেন আপনার প্রতিবারের করা ডিজাইন (ডিজাইন এর প্রতিটি ভার্সন) যেন সংরক্ষিত থাকে। এই কাজের জন্যই একটি ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম (VCS) ব্যবহার করা হয়। যদি কখনো আপনার নতুন আপডেটে কোন সমস্যা হয় তাহলে আপনি version control system বা VCS ব্যবহার করে আমরা সিলেক্টেড ফাইলকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে বা সম্পুর্ন প্রজেক্টকে আগের ভার্সনে নিয়ে যেতে পারি বা রিভার্ট (Revert) করতে পারি।
ভার্সন কন্ট্রোল কি? আমাদের কেন ভার্সন কন্ট্রোল দরকার? (What is version control and why we should care?) >> যে পদ্ধতিতে কোনও প্রজেক্টের ফাইলগুলোর পরিবর্তন ট্র্যাক করে রাখা হয় যাতে করে আমরা পরে দরকারে আগের নির্দিস্ট ভার্সনে যেতে পারি তাকে ভার্সন কন্ট্রোল (Version Control System বা VCS) বলে। গিট প্রায় যেকোনো ফাইলের পরিবর্তন গুলো ট্র্যাক করে রাখতে পারে।
gitHub ,gitLab এবং bitBucket হচ্ছে আমাদের গিট রিপজিটরি গুলোর বহুল জনপ্রিয় ওয়েব-ভিত্তিক হোস্টিং সার্ভিস গুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলোতে রয়েছে git tool এর সব সুবিধা সহ একটা ওয়েব-ভিত্তিক গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস এবং ডেক্সটপ আর মোবাইলের জন্য ক্লায়েন্ট। আরও সহজ করে বলতে গেলেঃ বন্ধু, সহকর্মী, সহপাঠী এমনকি পুরোপুরি অপরিচিত কাউকে আপনার কোড শেয়ার করার একটি উত্তম জায়গা হচ্ছে gitHub ,gitLab এবং bitBucket এর মতো সার্ভিস গুলো।
তার মানে এই নয় যে আপনি যা কাজ করতেছেন এইসব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করলে অন্যরা আপনার সব কিছু জেনে যাবে। এখানে যেমন পাবলিক repository খোলা যায়। একই ভাবে আপনি আপনার কোডের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য চাইলে প্রাইভেট (সামান্য অর্থের বিনিময়ে আনলিমিটেড অথবা সীমিত সংখ্যক ফ্রীতে ) repository খুলতে পারবেন। অনেক ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট এইসব হোস্টিং (gitHub ,gitLab এবং bitBucket) সার্ভিস ব্যবহার করে তাদের বিশাল community নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
যে কেউ পাবলিক repository এর কোড পড়তে পারে এর জন্য এগুলোতে কোন অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয় না, এমনকি মাউসের একটি click এ সম্পূর্ণ repository নিজের পিসিতে ক্লোন করা যায়। এগুলোতে repository খোলার জন্য সাধারণত আপনার একটি অ্যাকাউন্ট লাগবে তারপর public অথবা (সামান্য টাকার বিনিময়ে আনলিমিটেড অথবা সীমিত সংখ্যক ফ্রীতে ) private repository খুলতে পারবেন। আপনি এইসব হোস্টিং সার্ভিসে অনেক প্রোজেক্টের কোড রাখতে পারেন ।
আপনি একটি রিপোজটরিতে আপনার একটি প্রোজেক্টের কোড রাখতে পারবেন । এইসব হোস্টিং সার্ভিসের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে , এগুলোতে আপনার লেখা কোড সারাবিশ্বের যে কেউ দেখতে পারবে। যে কেউ চাইলে আপনার এপ্লিকেশনের সোর্সকোড ডেভেলাপ করতে পারবে। যেহেতু অনলাইন সংরক্ষন ব্যবস্থা তাই যে কোন জায়গা থেকে আপনি এক্সেস করতে পারবেন এবং কোড পরিবর্তনের জন্য কমিট করতে পারবেন।
সারা পৃথিবীর সকল ডেভেলপারদের সাথে সাথে বাংলাদেশের ডেভেলোপারও গিটহাবে কান্ট্রিবিউশন করে যাচ্ছে , যাদের মধ্যে আরমান হাকিম সাগর অন্যতম।
আরমান হাকিম সাগর ওয়েবসাইট ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট এবং ট্রেনিং নিয়ে কাজ করছেন গত ১০ যাবৎ। গিটহাব কমিউনিটিতে খুব পরিচিত মুখ তিনি , বর্তমানে গিটহাব পরিসংখ্যানে তার অবস্থান ১৯ তম। তার মতে ডেভেলপমেন্ট এবং কান্ট্রিবিউশন দুইটাই সমানভাবে হওয়াটা জরুরি একটা ডেভেলপারের জীবনে। নিজের স্কিল সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে গিটহাব। আপনি যেটা পারেন এবং যে প্রব্লেমটি সল্যুশন করেছেন অথবা যে প্যাকেজটি তৈরী করেছেন সেটা গিটহাবে শেয়ার করে দিতে পারেন , শুধু তাই না অনেক বড় বড় ইন্টার্ভিউতেও গিটহাব কান্ট্রিবিউশন নিয়ে এখন প্রশ্ন করা হয়।
আরো পড়ুন: ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বাংলাদেশেও জেন্ড সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে
0Share