সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্মীপুর | রাজনীতির উর্বরভূমিতে উন্নয়ন স্বল্পতা

লক্ষ্মীপুর | রাজনীতির উর্বরভূমিতে উন্নয়ন স্বল্পতা

লক্ষ্মীপুর | রাজনীতির উর্বরভূমিতে উন্নয়ন স্বল্পতা

সানা উল্লাহ সানু : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা নদীর অববাহিকায় গঠিত উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর একটি সম্ভাবনাময় জনপদ। ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হওয়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার চেষ্টা করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা। কিন্ত সুনিদির্ষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক লক্ষ্য নানা থাকায় সুসময় পথে এগোতে পারেনি এ জেলা। কতগুলো একক পণ্য উৎপাদন, রাজনৈতিক নেতা উৎপাদনের উর্বর জেলা হওয়া সত্ত্বেও সারাদেশে লক্ষ্মীপুর জেলা একক পরিচয় নিয়ে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছে।  এর অনেক কারণও রয়েছে। 

ভৌগলিক লক্ষ্মীপুর

১৪৫৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লক্ষ্মীপুর জেলার বর্তমান জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৭ হাজার। যার মধ্যে ১০ লাখ ৪ হাজার জনসংখ্যাই নারী। প্রতিকিলোমিটারে ১৩শ ৬১ জন মানুষ বসবাস করে। স্বাধীনতার পর থেকেই এজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের নানা অভাব ছিল। পাশাপাশি নদীভাঙন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ অঞ্চলের মানুষের নিত্যসঙ্গী। কিন্ত এ সব কিছু টপকে এজেলার মানুষ কয়েকটি ক্ষেতে সারাদেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। লক্ষ্মীপুর জেলা সীমানা রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার মেঘনা নদী। ইলিশ উৎপাদন, সয়াবিন, নারিকেল এবং সুপারি উৎপাদনে সারাদেশের বিখ্যাত লক্ষ্মীপুর। এ পণ্যগুলোই লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। কিন্ত নানা ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাবে এ জেলার মানুষ সবসময়ই সমস্যা গ্রস্থ থাকতে হচ্ছে। 

যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভালো দিক

লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের সাথে সকল উপজেলা, এমনি কি সব ইউনিয়নে যাওয়ার রাস্তা পাকা হয়েছে বহু আগে।  লক্ষ্মীপুর-ঢাকা, লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের সাথে  গুরুত্বপূর্ন নৌ যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সড়ক পথে লক্ষ্মীপুর জেলার সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ জেলার বাস যোগাযোগ রয়েছে।  

যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন দরকার

ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। কিন্ত উপকূলীয় জেলা হওয়ায় এ জেলার গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারে টেকসই জিওব্যাগ ব্যবহার করার মনোযোগী বা বিশেষ ডিজাইনের গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। বর্তমানে দেশের ৫০ জেলার যানবাহন  লক্ষ্মীপুর-ঢাকা, লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়ক হয়ে যাতায়াত করে। এ সড়কগুলো দ্রুত ফোর লেন এ উন্নতি করা দরকার। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়ককে অটোরিকসা বৃদ্ধি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন সমস্যার মুখোমুখি করছে।  

পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা রেল যোগাযোগে লক্ষ্মীপুরকে সংযুক্ত করা। আগামী সংসদ সদস্যরা লক্ষ্মীপুর জেলাবাসীকে রেল ভ্রমণের সুযোগ দিবে। সরকার ঘোষিত লক্ষ্মীপুর নদী বন্দর দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সাথে বর্হিবিশ্বের জাহাজ যোগাযোগের সুফলে যুক্ত হবে লক্ষ্মীপুর। 

 শিক্ষা খাত

উন্নয়ন:

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক মাদরাসা এবং বেশ কয়েকটি কলেজ হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি কারগরি স্কুল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কয়েকটি মাদরাসায় উচ্চ শিক্ষার কার্যক্রম এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে কয়েকটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। 

  • সমস্যা:

কয়েকটি দূর্গম এলাকা যেমন, সদর উপজেলার আন্দারমানিক গ্রাম, রায়পুরের চরবংশী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এসব এলাকার চরবাসীর সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব জেলাবাসি নিতে পারেনি। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, দত্তপাড়া কলেজ এবং বেশ কয়েকটি মাদরাসায় কয়েকটি বিষয়ে অনার্স চালু হলেও এসব কলেজ এবং মাদরাসায় অনার্স শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্মমানের। শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করেই অনার্স পাশ করছে। মানসম্মত উচ্চ শিক্ষার জন্য এসব কলেজ ও মাদরাসার উচ্চ শিক্ষার মান মনিটরিং করার কোন বিষয় কখনো কোথাও আলোচনা হয়নি। জেলার উচ্চ শিক্ষার মান রক্ষায় এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি মনেযোগ দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরের ২০ লাখ মানুষের উচ্চ শিক্ষার জন্য অনুমোদন হওয়া লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুত চালুর জন্য স্থান নির্ধারণ প্রয়োজন। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর নার্সিং কলেজ দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। 

স্বাস্থ্য খাত

  • উন্নয়ন:

জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে । সদর হাসপাতালের জন্য ২শ ৫০ শয্যার একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জেলাব্যাপি গড়ে উঠেছে দুইশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার। 

  • সমস্যা:

সদর হাসপাতালেও সাধারণ একটি কাটা ছেড়া বা বিশেষ কোন রোগের চিকিৎসা হয় না। জেলার মানুষ সামান্য কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হলেই নোয়াখালী কিংবা ঢাকায় যেতে হয়। সদর হাসপাতালে একটি কার্যকর আইসিইউ ইউনিট চালু রাখা যায়নি। লক্ষ্মীপুর জেলার মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক সকল বেসরকারি হাসাপাতালের চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকরা সরকারি হাসপাতালকে শুধুমাত্র রোগী নেয়ার স্থান হিসেবে গণ্য করছে। বেসরকারি হাসপাতালে চুক্তি থাকার কারণে সরকারি হাসপাতালে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় না । ফলে এসব হাসপাতালে সরকারি কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অলস পড়ে নষ্ট হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলায় দুইশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের কোন পরীক্ষার রিপোর্ট কিংবা চিকিৎসা কোনটিই গ্রহন করে না নোয়াখালী কিংবা ঢাকার কোন হাসপাতাল। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। 

 

সব মিলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বিশৃঙ্খল জেলা হচ্ছে লক্ষ্মীপুর। অথচ চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও মানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি লক্ষ্মীপুরে। 

কৃষি ও মৎস্য খাত

  • উন্নয়ন:

লক্ষ্মীপুরে উচ্চ ফলনশীল ধান, সয়াবিন, নারিকেল, সুপারি, ফলচাষ,  ইলিশ এবং চিংড়ি পোণার  উৎপাদন বেড়েছে। এসব কৃষিপণ্য থেকে লক্ষ্মীপুর জেলায় বছরে গড়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা উৎপাদন করে। পাশাপাশি এসব পণ্য উৎপাদনে জেলার অন্তত ১০ লাখ মানুষ সরাসরি যুক্ত। পণ্যগুলো লক্ষ্মীপুর জেলার অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি।  

  • সমস্যা:

সয়াবিন চাষে দেশের এক নম্বর জেলা হলেও সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সয়াবিন কেন্দ্রিক শিল্পকারখানা তৈরি হয়নি। লক্ষ্মীপুরের ৭৬ কিলোমিটার মেঘনা নদীর ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চাঁদপুর নিয়ে। লক্ষ্মীপুর জেলায় ইলিশ প্রসেস ও প্রক্রিয়াকরণের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা যায়নি। ফলে লক্ষ্মীপুরের ইলিশ দেশের মানুষের নিকট পরিচিত হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ হিসেবে। অন্যদিকে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি এবং উপকূলে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত লবণ। এসব চ্যালেঞ্চ মোবাকেলা করার উদ্যোগ নিতে হবে। 

প্রাণীসম্পদ খাত

  • উন্নয়ন:

বর্তমানে পশুপালন অত্যন্ত লাভজন হওয়ায় লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপি পশুপালন বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে হাজার হাজার পশু উদ্যাক্তা তৈরি হয়েছে। গত বছর কোরবানিতে লক্ষ্মীপুর জেলায় উৎপাদিত হয়েছে ৬৩ হাজার পশু। যার বাজার মূল্য অন্তত ৭শ কোটি টাকা। 

  • সম্ভাবনা:

যখন পশু উৎপাদন বেড়েছে তখন সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠা প্রায় ৩ হাজার পোল্ট্রি ফার্ম। প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে আবারো পোল্ট্রি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করণের উদ্যোগ নিতে হবে। 

শিল্প কারখানা

  • উন্নয়ন:
    • লক্ষ্মীপুরে ভারী শিল্প কারখানা তেমন গড়ে ওঠেনি। রায়পুরের বেঙ্গল সু কারখানা এবং বিসিক শিল্প নগরীর একটি মাত্র ফ্যাক্টরিতে কিছু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি জেলায় দুটি মাত্র সিরামিক কারখানা এবং তিনটি এগ্রো প্রসেসিং কারখানা ছাড়া আর কোন ভারী শিল্প গড়ে উঠেনি। অথচ শিল্পকারখানার পণ্য পরিবহনে নদী ব্যবহারের বিশাল সুযোগ রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলায়। 
    •  
  • সম্ভাবনা:

লক্ষ্মীপুর জেলার মেঘনা নদী ব্যবহার এবং অতীতে উদ্যোগ নেয়া লক্ষ্মীপুর  বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করণের জন্য রাজনৈতিক  উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। 

পরিবেশ

লক্ষ্মীপুর এমন একটি জেলা । যার তিন দিকে তিনটি নদী । জেলার বুকে রয়েছে অন্তত শতাধিক খাল। এসকল জলজ দেহ পানি নিস্কাষশন, পানি সরবরাহ, ফসল উৎপাদন, মৎস্য এবং প্রকৃতির জন্য একটি দারুণ সুযোগ। কিন্ত দূভার্গ্যজনক খবর হচ্ছে, জেলার প্রতিটি খাল এখন দখলের কবলে। প্রতিদিনই রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয়রা ইচ্ছে মতো এসব জলজদেহ দখল করে ফেলছে। পাশাপাশি শহর গ্রামের বিপুল পরিমাণ বর্জ্যে গলা টিপে ধরছে। এতে করে ২০২৪ সালের মতো দীর্ঘদিন লক্ষ্মীপুর বাসি জলাবদ্ধতা সহ পানি বন্দি ছিল দীর্ঘ তিন মাস। কিন্ত এসব জলজদেহ উদ্ধার সংরক্ষণ অথবা বাচাঁনোর কোন উদ্যোগ দেখা যায়না। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে ২০২৪ সালের আগষ্টের পর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তত ২শ জায়গায় নতুন করে খাল বিল দখলের খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্যোগজনক হারে লক্ষ্মীপুর জেলার কৃষি মাঠে ইটভাটা নিমার্ণ হচ্ছে। এলাকাবাসীর হাজারো আপত্তি সত্ত্বেও প্রশাসন সহযোগিতা করে অবৈধ ইটভাটা বসানোর সুযোগ দিচ্ছে। এতে করে প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সুন্দর পরিবেশের জন্য খাল নদী দখল এবং অবৈধ ইটভাটা এসব বন্ধ করা না গেলে আমাদের কোন উন্নয়নই সফল হবে না। 

পর্যটন

  • উন্নয়ন:

দেশের অন্যান্য জেলার মানুষকে নিয়ে আসার জন্য লক্ষ্মীপুরে পর্যটন শিল্প তেমন বিকশিত হয়নি। তবে কিছু ঐতিহাসিক স্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকা রয়েছে। তবে বর্তমানে চলমান মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প শেষ হলে সেই মেরিন ড্রাইভ কেন্দ্রিক লক্ষ্মীপুর জেলায় নতুন পর্যটন খাত তৈরি হতে পারে। সেটি দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষকে আকর্ষণ করবে। তবে লক্ষ্মীপুরে নদী ও চর ভিত্তিক নতুন পর্যটন গড়ে তোলার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। 

সার্বিক চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ
নদী ভাঙন ও জলবায়ু পরিবর্তন: মেঘনার করাল গ্রাসে প্রতি বছর বহু মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এসমস্যা মোকাবেলায় লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু কৃষি ব্যবস্থা ও এবং রাস্তাসহ  অবকাঠামো নির্মাণে এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

অপরিকল্পিত নগরায়ন  ও গৃহ নির্মাণ : জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে, যা পয়ঃনিষ্কাশন ও যানজট সমস্যা তীব্র করছে। এসব সমস্যা সমাধানে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে শহর ও গ্রামের উন্নয়ন করতে হবে।

স্বাধীনতার পর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনও নানাবিধ সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। জেলার ভৌগোলিক অবস্থান, উর্বর ভূমি, বিশাল জলরাশি এবং কর্মঠ জনগোষ্ঠী এ জেলার প্রধান শক্তি। সঠিক পরিকল্পনা, সমন্বিত উদ্যোগ এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আগামীর রাজনীতিবিদদের জন্য বাধ্যতামূলক উন্নয়ন কাজের সিলেবাস প্রয়োজন। 

মতামত | সাক্ষাৎকার আরও সংবাদ

লক্ষ্মীপুরে নজরুল ও কবি নজরুল এভিনিউ

ভুলুয়া নদীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা আর ত্রুটিপূর্ণ সেতু ঘিরে মানুষের এত উম্মাদনা কেন ?

লক্ষ্মীপুর | রাজনীতির উর্বরভূমিতে উন্নয়ন স্বল্পতা

রামগতি কমলনগরের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ঢাকাস্থ আইনজীবিদের ঐক্যমত

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি পাঠ্যপুস্তকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে : এ্যানি

শিক্ষকের সম্মান ও সমাজের দায়িত্ব

Lakshmipur24 | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধিত নিউজপোর্টাল  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2025
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Muktizudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com