লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে স্থানান্তরের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আগামী সপ্তাহে হস্তান্তরের গেজেট প্রকাশিত হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের উপপ্রধান নাজমুল হকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এ সড়ক রুটটি বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলনকারী সংগঠন ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল-বিডিএফ এর সাধারণ সম্পাদক এম জহিরুল আলম।
জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সকড়কে লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগেও প্রেরণের জন্য গত ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে একটি চিঠি প্রেরণ করে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্রত যোগাযোগের অন্যতম প্রদান সংযোগ সড়ক হিসেবে তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়ককে গুরুত্ব দিচ্ছে নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়। নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সড়কটির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সাথে সংযুক্ত তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের দূরত্ব ৮.৬ কিলোমিটার এবং সড়কটির প্রস্থ সাড়ে ১২ ফুট।
স্থানীয় ভাবেজানা যায়, ভোলা, বরিশালসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের শতশত যাত্রী প্রতিদিন মেঘনা নদী পার হয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটিতে প্রতিদিন কয়েক শত সিএনজি-অটো রিকসা চলাচল করে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১২ জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নয়টিসহ ২১ জেলার মানুষের আন্তঃজেলা যাতায়াতের অন্যতম রুট ভোলার ইলিশা হয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট। মোংলা সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রুটও এটি।
কিন্ত এ রুটটি ২০০৮ সাল থেকে তীব্র নাব্যতা সংকটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে চলছেন হাজার হাজার যাত্রী। সমস্যা সমাধানে এবং রুট সচল রাখতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাটে নতুন একটি ফেরিঘাটের দাবি করেছেন তারা। যাত্রীদের দাবি, মতিরহাটে নতুন একটি ঘাট স্থাপন করলে সময় ও নদী পথে ১০ কিলোমিটার বাড়তি পথও কমে যাবে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মতিরহাট ও মজুচৌধুরীরহাট উভয় স্থান থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শহর হয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় আসা যাওয়া করা যায়।
0Share