সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পৃথিবী জুড়ে স্মার্ট গ্রিড বানাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের মার্কিন প্রবাসী জন সাখাওয়াতের কোম্পানী

পৃথিবী জুড়ে স্মার্ট গ্রিড বানাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের মার্কিন প্রবাসী জন সাখাওয়াতের কোম্পানী

পৃথিবী জুড়ে স্মার্ট গ্রিড বানাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের মার্কিন প্রবাসী জন সাখাওয়াতের কোম্পানী

সানা উল্লাহ সান/আলা উদ্দিন সাজু: বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিদ্যুৎ কোম্পানিকে অটোমোশান করে পৃথিবী জুড়ে স্মার্ট গ্রিডে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশী মার্কিন প্রবাসী জন সাখাওয়াত চৌধুরী ও তার প্রতিষ্ঠান এনকেসফট। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

২৫ হাজার ডলার নিয়ে শুরু করা এনকেসফট এখন ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বড় এক কোম্পানি।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৩৫৬টি বড় বড় কোম্পানিসহ ৫০ হাজার কাস্টমার রয়েছে এনকেসফটের দখলে। ৮টি দেশে অফিস এবং ১৪টি দেশে রয়েছে প্রতিনিধি।

মার্কিন প্রবাসী জন সাখাওয়াত চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মটবী গ্রামে। বর্তমানে তার পরিবারের ২৮জন আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।

জন সাখাওয়াত চৌধুরী তার ৪৫ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন কোম্পানী এনকেসফট ও বিদ্যুতের স্মার্ট গ্রিড নিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরের সাথে দীর্ঘ সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তার সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন সানা উল্লাহ সানু ও আলা উদ্দিন সাজু।

‘বাংলাদেশের শহর কিংবা গ্রামের বর্তমান বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে যদি কোন গাছ পড়ে, লাইন ছিড়ে যায়, কিংবা ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়, তখন ওই পুরো এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার পর পরই কোম্পানি জানে না কোথায় কি ঘটলো ? এ ঘটনায় আক্রান্ত বহু গ্রাহকের পক্ষ থেকে হেল্পলাইনে অভিযোগ পেলে কোম্পানি বিষয়টি দেখার জন্য প্রথমে তার কর্মী পাঠায়। কর্মীরা মাঠে গিয়ে পুরো লাইনের সব পিলার, ট্রান্সফর্মার এবং লাইন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মাঠের সমস্যাটি সদর দপ্তরে জানায়।

দপ্তর সমস্যাটি সমাধানে বিদ্যুৎ কোম্পানির আঞ্চলিক অফিস থেকে বড় অফিস পযর্ন্ত ফোন কিংবা চিঠি চালাচালি শুরু করে। কিন্ত ততক্ষণ পর্যন্ত একজন গ্রাহক থেকে সৃষ্ট সমস্যায় পুরো এলাকায় কয়েক ঘন্টা, কিংবা কয়েক দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। মাত্র একজন গ্রাহক থেকে সমস্যার সৃষ্টি হলেও ওই গ্রাহক যে খুঁটি কিংবা ট্রান্সফর্মারের আওতাধীন সকল গ্রাহক ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে পারে। এতে কোম্পানির বড় রকমের আর্থিক ক্ষতি হয়। কারণ ওই সময়ে গ্রাহকদের অব্যবহৃত বিদ্যুৎ অন্য কোথায়ও পাঠানো বা সংরক্ষণ করা যায় না। সে বিদ্যুৎ মিটারে হিসেব হয় না। যা কোম্পানি ও গ্রাহক উভয়েরই ক্ষতি। তবুও বাংলাদেশেসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে যুগযুগ ধরে এভাবেই বিদ্যুৎ জেনারেশন ও ট্রান্সমিশন হয়ে আসছে।

কিন্ত আমরা এটাকে পরিবর্তন করে পুরো ব্যবস্থাটি অটোমোশান করছি। এখন এরকম কোন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথেই কোম্পানি জেনে যাবে। বিদ্যুৎতের পিলার, লাইন, ট্রান্সফর্মার অনেকটা নিজেই জানাবে নিজের সমস্যা। বিদ্যুৎতের নতুন এ ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা হচ্ছে স্মার্ট গ্রিড।’’ স্মার্ট গ্রিড সর্ম্পকে বলতে গিয়ে এভাবেই ব্যাখ্যা করছিলেন, জন শাখাওয়াত চৌধুরী।

প্রশ্ন: স্মার্ট গ্রিডের ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুতের গ্রাহক ও কোম্পানিগুলো কি সুবিধা পাবে?

কথা বলার শুরুতে তিনি জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ডিসট্রিবিউশান গ্রিডে যে মেইন প্রবলেমটা আছে, তা বেশ পুরাতন। বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউশান গ্রিডে অটোমোশান system integrate হয়নি। এজন্য আমরা এটাকে অটোমোশান করছি। যাতে বিদ্যুতের ক্ষতি কমানো যায় এবং সব সময় সব পরিবেশে চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। ‘‘এখন স্মার্ট গ্রিডের আওতায় বিদ্যুৎ জেনারেশন হাউজ থেকে একেবারে গ্রাহকের বাড়ি পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনে কোন গাছ পড়লে, লাইন ছিড়লে, ট্রান্সফর্মার নষ্ট হলে অটোমেটিক নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন বা স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থায় কোম্পানীর প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেন্টার থেকে তা সরাসরি জেনে যাবে। আবার কোথায় কত ভোল্টেজ প্রয়োজন, কত সরবাহ হচ্ছে, দূর্বল লাইন, দূর্বল ট্রান্সফর্মার, দূর্বল খুঁটি এমন অনেক সমস্যা আগ থেকেই চিহ্নিত করা যাবে। চিহ্নিত সমস্যার কারণে কোন ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের মূল ট্রান্সমিশন থেকে বাদ রেখে বাকি কাস্টমারদের অন্য সাবস্টেশনের সাথে যুক্ত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। কিংবা তাদের অব্যবহৃত বিদ্যুৎগুলো অন্য যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠানো যাবে।

এছাড়া বর্তমানে একজন গ্রাহকের সামান্য কোন সমস্যার জন্যও ওই এলাকার পুরো ফিডার লাইনের বহু গ্রাহকে বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এতে কোম্পানির ক্ষতি। কারণ কোন লাইন বন্ধ থাকলে তাতে অব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসেবে কোন মিটারে আসে না। বর্তমানে প্রচলিত ব্যবস্থায় একজন কাস্টমারের যে কোন সমস্যা সমধানে ম্যানুয়ালি জানাতে হয় বা ফোন করতে হয়। স্মার্ট গ্রিড চালু হলে কাউকে ফোন করে সমস্যার কথা জানাতে হবে না। কাস্টমার উল্টো বিদ্যুৎ অফিস থেকে তার সমস্যার কথা জানবে এবং সমাধান হতে কতক্ষণ লাগবে তা জানবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে সর্ব প্রথম স্মার্ট গ্রিডে যাচ্ছে কোন কোম্পানি ? গ্রাহকরা কবে নাগাদ এ সুবিধা ভোগ করবে?

স্মার্ট গ্রিড এর যে কাজ করা হচ্ছে তা আগে কখনো বাংলাদেশে হয়নি। আমারই প্রথম। ২০২১ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশে স্মার্ট গ্রিডের কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম দুটি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমে রুপান্তরিত করছে এনকেসফট। একটি হচ্ছে, ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী-ডিপিডিসি।This Project is funded by AFD(Agency French Development) &EU(Europe Union) অন্যটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী-ডব্লিউজেডপিডিসি।This Project is funded by KFW (KFW Developemet Bank) ডিপিডিসি এর জন্য আমরা প্রধান কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছি। আমাদের পরামর্শে তাদের পুরো সিস্টেম (Intregation Design) তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে ডব্লিউজেডপিডিসির জন্য সফটওয়্যার এবং অন্যান্য সকল টুলস দিয়ে পুরো সিস্টেম তৈরি করে দিচ্ছি। ৩ বছরের মধ্যে এ দুটি কোম্পানির গ্রাহকরা স্মার্ট গ্রিডের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

প্রশ্ন: NKSoft কি? NKSoft এর সহায়তা পৃথিবীর অন্য কোন কোম্পানি স্মার্ট গ্রিডে এসেছে? আপনাদের গ্রাহক কারা? Nksoft হলো গ্রিড আধুনিকীকরণের একটি আন্তর্জাতিক কনসালট্যান্টসি প্রতিষ্ঠান। শক্তি ব্যবস্থাপনা, মাইক্রোগ্রিড, ডিস্ট্রিবিউটেড এনার্জি (DER), দক্ষ ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন গ্রিড প্ল্যানিং, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন পরিকল্পনা, ডিজাইন এবং স্মার্ট সিটি প্ল্যানিং এবং স্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। NKSoft এর পুরো নাম NKSoft KEMA কর্পোরেশন ইউএসএ। এনকেসফটের জন্ম ১৯৯৭ সালে। এনকেসফটের প্রধান সদর দপ্তর আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরে। আমেরিকার প্রতিটি শহরে আমাদের অফিস রয়েছে। পৃথিবীর ১৪টি দেশে আমাদের প্রতিনিধি রয়েছে। ৮টি দেশে অফিস রয়েছে।আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন পিএইচডি গবেষক কাজ করছেন। আমাদের কোম্পানিতে ৩৫০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। বাংলাদেশের ২ টি এনার্জি ডিষ্ট্রিবিউশান নেটওয়ার্ক আমাদের সাথে যুক্ত হলো। বাংলাদেশও আমাদের অফিস চালু হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৩৫৬টি বড় বড় কোম্পানি আমাদের কাস্টমার। এর মধ্যে আমরা আমেরিকা এবং পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি দেশে পুরো বিদ্যুৎ ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক অটোমেটিক ও স্মার্ট করার কাজ করেছিলাম। ব্রাজিলের পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ১৩টি বড় কোম্পানির মধ্যে ৫টি কে আমরা স্মার্ট গ্রিডে রুপান্তর করেছি। ব্রাজিলে আমরা স্মার্ট গ্রিড সিটি তৈরি করে দিয়েছিলাম। আমেরিকান এয়ারলাইনস, কোকাকোলার মতো প্রতিষ্ঠানসহ মো ৫০ হাজার কোম্পানি গ্রাহক রয়েছে আমাদের। যারা বিদ্যুৎ ছাড়াও আমাদের অন্য সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করছে।

প্রশ্ন: কত মূলধনে এনকেসফট শুরু করলেন ? বর্তমানে এর মূলধন কত ?

আমেরিকা প্রবাসী যুবক জন সাখাওয়াত চৌধুরী জানায়, আমেরিকায় পড়াশোনা শেষে ইলেকট্রিক ও তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক কোম্পানিতে কনসালটেন্ট হিসেবে চাকুরী করেছিলাম। তখন বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমানোর বিশেষ একটি সফটওয়ার তৈরি করে ছিলাম। পরে ওই সফটওয়্যারটি বিপণনের জন্য ১৯৯৭ সালে ২৫ হাজার ডলার দিয়ে শুরু করি এনকেসফট কোম্পানি। আমি প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। শুরুতে আমার সাথে আমেরিকান আরো ৩জন সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এক বছরের মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার আয় হয় সফটওয়ার বিক্রি থেকে। তখন সারা আমেরিকাতে হৈচৈ হয় আমাদের নতুন ইনোভেশনটি নিয়ে। আমাকে নিয়ে আমেরিকার বহু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।বর্তমানে এনকেসফটের পরিসম্পদের মূল্য ৪শ ৫০ কোটি বা ৪৫ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সারা পৃথিবীর আধুনিক বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা স্মার্ট গ্রিড এনকেসফটের দখলে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানি পল্লী বিদ্যুৎ কে কি আপনারা স্মার্ট গ্রিডে রুপান্তর করতে পারবেন ?

হ্যাঁ অবশ্যই। সরকারি বিদ্যুৎ সেবা পল্লীবিদ্যুৎ দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এখন দেখতে হবে, যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা যেন কোন প্রকার সিস্টেম লস ছাড়া সরাসরি গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে যায়। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎকে ও অটোমোশানে আসতে হবে। আমরা বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ এর সাথে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের ইচ্ছে আছে পল্লী বিদ্যুতের সাথে কাজ করার। তাদের সাথে কাজ করতে পারলে গ্রাহকদের সুবিধা হবে। পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতেরও অনেক খরচ কমে আসবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়ে সারা পৃথিবীতে এত পরিচিতি পেলেন কিভাবে ?

এইচএসসি পাশের পর ১৯৮১ সালের শেষ দিকে পেট্টোক্যামিকেল বিষয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট ডিগ্রী নেয়ার জন্য আমি আমেরিকায় যাই। তবে সেখানে গিয়ে আমি ওকলাহোমা রাজ্যের টেলসা ইউনিভার্সিটিতে বিষয় পরিবর্তন করে ভর্তি হয়েছিলাম ইলেক্ট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে। পরে ওই বিষয়ে আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করি। এরপর কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দিই বিশ্ববিখ্যাত প্রাইস ওয়াটার হাউস কপারস-পিডব্লিউসি এ। সেখান থেকে আমি সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার পর্যন্ত কাজ করেছিলাম। এরপর যোগ দিই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আইবিএমে। কনসালটেন্ট হিসেবে আমি বিশ্বব্যাপী বহু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। এরপর আমি বিদ্যুতের ওই সফটওয়ারটি আবিস্কারের পর ১৯৯৭ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা করি এনকেসফট। এভাবেই এখন বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আপনার গ্রামের বাড়ি ও পরিবার পরিজন সর্ম্পকে জানতে চাই ।

বাংলাদেশে আমাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মটবী গ্রামে। স্বাধীনতার আগে মনজুর মোর্শেদ ট্রান্সপোর্ট নামে আমার বাবার একটি বাস কোম্পানী ছিল। ওই কোম্পানীর বাসগুলো লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াত করতো। সে সুবাধে ছোট বেলা থেকেই আমরা বড় হয়েছিলাম চট্টগ্রামে। তবে এইচএসসি পাশের পর ১৯৮১ সালে আমেরিকাতে যাই। বাবা ও ভাইয়ের কবর লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতেই আছে। আমরা ১১ ভাই বোনের বিশাল পরিবার। গ্রামে আমাদের বহু স্বজন রয়েছে। তবে বর্তমানে পরিবারের আমরা ২৮জন আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। সময় পেলেই গ্রামের বাড়িতে যাই। যেখানেই থাকি আমার গ্রামের মাটিকে ভালোবাসি।

জীবনী | ব্যক্তিত্ব আরও সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল

নেডারল্যান্ডের শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন লক্ষ্মীপুরের মাইনুল ইসলাম

লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল চাপায় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ উল্যা নিহত

ইউএস আর্মি স্পেশালিস্ট পদে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশি যুবক ফরহাদ

৪১তম বিসিএসে ক্যাডার হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার ২২ জন

‘ব্যারিস্টার-এট-ল’ ডিগ্রী অর্জন করলেন লক্ষ্মীপুরের এডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Chief Mentor: Rafiqul Islam Montu, Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu.
Muktijudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794 822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com