লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নির্বাচন পরবর্তী পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক গর্ববতী নারীসহ উভয় পক্ষে পাঁচ ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এবং রামদয়াল বাজার সিএনজি ষ্টেন্ড দখল নেওয়াসহ এসব ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় আহতরা হচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন পাটোয়ারী ও তাঁর ছেলে মোঃ হাসান, গর্ববতী মেয়ে রাজিয়া এবং মামুনের চাচাতো ভাই বাতেন, অপর আহত ব্যক্তি হচ্ছেন চর আলগী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত।
গুরুতর আহত মামুন পাটোয়ারী ও তার মেয়ে রাজিয়াকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। উভয় ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আল আমিন দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবদুল্যাহর ঈগল প্রতিকের সমর্থক ছিলেন , অপর দিকে তার জেঠাত ভাই মামুন পাটোয়ারী ও তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের মোশাররফ হোসেনের সমর্থক ছিলেন। মামুনের ছেলে হাসান এবং মেয়ে রাজিয়া নৌকা প্রতিকের কেন্দ্র এজেন্ট হন, এতে ইউপি সদস্য আল আমিন তাদের উপর ক্ষুব্দ হন। এই নিয়ে ভোট কেন্দ্রে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন বাড়িতেও একই ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে পুনরায় তর্কবিতর্কে জড়ান তারা এক পর্যায়ে আল আমিনের পক্ষ নিয়ে অপর চাচাতো ভাই বাতেন প্রতিপক্ষ মামুনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মামুন আহত হলে তার ছেলে হাসান এবং মেয়ে রাজিয়া এগিয়ে এলে তারাও বাতেনের হামলায় আহত হন। পরে গ্রাম বাসিরদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অপর ঘটনায় উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক জুবায়ের হোসেন জানান, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত এবারের ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের প্রাথীর পক্ষে ভোট করেন সে দীর্ঘ দিন ধরে রামদয়াল বাজার সিএনজি স্টেশনের লাইনম্যান ও যানজটমুক্ত রাখার কাজ করে আসছিলেন। ভোট শেষ হতে না হতেই মঙ্গলবার সকালে সজীব নামে এক লোক তার অনুসারীদের নিয়ে বিজয়ী ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক দাবী করে শাহাদাতের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেন এবং স্টান দখলে নেওয়া চেস্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এসময় খবর পেয়ে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন জানান, তুচ্ছ ঘটনায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এটাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলা যায়না। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা-01-24
0Share