রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে হিন্দু পরিবারের বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ল্যাপটপসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত: ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৫ নারীসহ ৯জনকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংখ্যালঘু
পরিবারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে দু’সংখ্যালঘু পরিবারের দ্বন্ধে রোববার (১৯ জুলাই) বিকালে উপজেলার গাইয়ারচর গ্রামের মৃত স্কুল শিক্ষক ও আ.লীগ নেতা প্রকৃত রঞ্জন মিশ্রর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল কার্তিক সরকারের অনুসারি তাজুল ইসলাম তাজুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, প্রকৃত রঞ্জন মিশ্রর ক্যাম্পেরহাট বাজারের একটি ঘরে এনজিও ‘গ্রীণ বাংলা মাল্টিপারপাস’ নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভাড়া নেয়। ওই প্রতিষ্ঠানেই চাকুরী করে তার ছেলে শ্যামল মিশ্র, একই এলাকার কার্তিক সরকার ও তার কন্যা হ্যাপী সরকার। সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যায় ওই সংস্থাটি। এ কারণে শ্যামলের নিকট টাকা পাওনা দাবী করে হ্যাপী শালিসের আয়োজন করে।
স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস হলেও শ্যামলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে হ্যাপী ও তার পিতা কার্তিক। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হ্যাপীর পক্ষ নিয়ে তাজুল ইসলাম তাজুর নেতৃত্বে ২৫-৩০জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শ্যামলের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, মারধর ও লুটপাট চালানো হয়।
তবে যুবলীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ঘটনা দেখে তা থামানোর চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কার্তিক সরকারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী বিভা সরকার বলেন, মেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে টাকার জন্য গেলে শ্যামল তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনা শুনেই সংখ্যালঘুর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
0Share