রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে গত তিন দিনে নারীসহ ৩ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার রাত ১১ টার দিকে অংকিতা নার্থ (১৮) নামে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ শহরের ধানহাটা এলাকা ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধু পৌর শহরের পপুলার ফার্মেসির মালিক বাদল দেবনাথের
স্ত্রী ও ফেনী জেলার লালপুর এলাকার পরিমল নাথের মেয়ে। এঘটনায় রাতেই পুলিশ স্বামী বাদলসহ শ্বশুর ও শ্বশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে শ্বশুর-শ্বশুড়িকে ছেড়ে দিলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাদলকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারগুলো আতঙ্কিত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রায় ১ বছর আগে পারিবারিক ভাবে ফেনী জেলার ফরিমল নাথের মেয়ে অংকিতা নাথের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ী বাদলের বিয়ে হয়। বর্তমানে তিরি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হঠাৎ করে বুধবার রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেছিয়ে কী কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিষয়টি এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। বাদল বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাদের মধ্যে কোনদিন কথা কাটাকাটিও হয়নি এবং ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন বলেও দাবি করেন।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর পিতা-মাতা বরিশাল থেকে এখনও না পৌঁছায় থানা পুলিশ কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। তবে ওই গৃহবধূর কোন স্বজন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের শ্বশুড়বাড়িতে হামদে রাব্বী (২৮) নামে এক জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। গত সোমবার পারিবারিক কলহের জের ধরে কেরোয়া ইউনিয়নের উত্তর কেরোয়া গ্রামের কমিজ উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে নিজ ঘরে মো. সুমন (৩২) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হলেও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত গৃহবধূর পিতামাতা আসলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও একের পর এক আত্মহত্যায় আমার উদ্বিগ্ন রয়েছি।
0Share