রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলায় সড়ক ও জনপদ কার্যালয়ে মাসের পর মাস কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় সেটি মাদক সেবিদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে। প্রাচীর ঘেষে মানুষ ও পশুদের ময়লা আবর্জনায় একদিকে যেমন পরিবেশ দূষন হচ্ছে তেমনি প্রধান গেটের সামনে বিভিন্ন পরিবহন করায় তা ভূতড়ে এলাকায়
পরিনত হয়েছে। মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও ময়লাগুলো অপসারন করতে স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবাসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালেও বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, মাসের পর মাস রায়পুর উপজেলার সড়ক ও জনপদ কার্য্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সফিক ও আলমগীর হোসেন অনুপস্থিত থাকছেন। কার্য্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মালেক কার্য্যালয়ে না থেকে বাহিরে অবস্থান করায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা বীরদর্পে ব্যবসা করে চলছে। তার পাশেই রয়েছে রায়পুর থানা এবং উপজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা। এ কার্য্যালয়টির প্রাচীর ঘেষে মানুষ ও পশুর মলমূত্র, ময়লা আবর্জনায় স্তুপ থাকায় দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষন হয়ে পড়েছে। পথচারীরা হাঁটতে গেলে মুখে রুমাল, কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয়্ । প্রথম শ্রেণির পৌরসভা সত্ত্বেও প্রতিদিন ময়লা- আবর্জনা পরিষ্কারে জন্য মাষ্টার রুলে কর্মচারী থাকলেও তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। একাধিকবার সড়ক ও জনপদ কার্য্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও পৌরসভার মেয়রকে ব্যবস্থা নিতে বললেও তারা তা শুনছেন না।
পৌরসভার মেয়র এ.বি.এম জিলানী বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তোফায়েল মিয়া বলেন, রায়পুরের কার্য্যালয়ে কর্মকর্তা থাকেন না এবং সেখানে মাদকসেবিদের আড্ডাখানা ও প্রচীর ঘেষে ময়লা-আবর্জনার বিষয়টি তার জানা নেই।
0Share