নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজনের হাতে ইউনিয়নের চার নেতা-কর্মী লাঞ্চিত ও কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষনার প্রতিবাদে উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধায় শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দেড়-শতাধিক নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল ও ট্রাফিক মোড় এলাকায় সমাবেশ হয়। এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, রোববার সন্ধায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট এলাকায় ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক সুমন হাওলাদারসহ চার নেতা-কর্মীকে একটি চায়ের দোকানে উপজেলা চেয়ারম্যানের কয়েকজন অনুসারী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঞ্চিত করে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে (২৭ আগষ্ট) উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়ে (খাসের হাট) উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। এতে ছাত্রলীগের পক্ষে রায় না যাওয়ায় তারা বয়কট করে চলে আসে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ছাত্রলীগের আহবায়কের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উপজেলা চেয়ারম্যান বাহিনীর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, দলের দু’জন কর্মীর সাথে স্থানীয় বখাটে কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় আমরা মিমাংশা করতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সাথে মিমাংশা হয়ে যায়। উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনা না জেনে ও না বুঝে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ জনি ও পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক রিজভী বলেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ চার নেতাকর্মীকে উপজেলা চেয়ারম্যান বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটিকে অবাঞ্চিত করার ঘটনা আমাদেরকে ইউনিয়ন নেতারা জানালে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, এই ঘটনার সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। খোজ-খবর নিয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, শুনেছি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিকেলে শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে। বিষয়টি খোজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
0Share