রায়পুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিধবা বড় ভাবীকে বিয়ে করা নিয়ে নেশাগ্রস্থ যুবকের কোপাঘাতে বৃদ্ধপিতা (৮০) ও বড় ভাই (৪৪) সহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহত পিতাসহ দু’ভাই সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় পৌরসভার মধুপুর গ্রামের আব্দুল গনি হাজী বাড়ীতে। এই ঘটনায় আহত আব্দুল কাদের বাদী হয়ে নেশাগ্রস্থ ছোট ভাই আব্দুল খালেক (৩৮) ও তার স্ত্রী পান্না আক্তার (৪৫) সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল কাদের জানান, তার বড় ভাই মোঃ সেলিম ১১ বছর আগে স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে মারা যান। সেই থেকে আমাদের তত্ত্বাবধানে সংসার চলে আসছিল। গত ১০দিন আগে নেশাগ্রস্থ ছোট ভাই আব্দুল খালেক বড় ভাবী পান্না আক্তার কে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই আমাদের সংসারে প্রতিদিনই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলহ ও বৃদ্ধ পিতাকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করে চলেছে পান্না আক্তার ও আব্দুল খালেক। এসব ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার বৈঠক হলেও তারা সংযত হয়নি। নেশা ছেড়ে দিয়ে সুস্থ্যভাবে জীবন-যাপন করার জন্য আব্দুল খালেককে একাধিকবার পরামর্শ দিলেও সে বৃদ্ধ বাবাসহ আমাকে মারধর করে। গত ২৩ জানুয়ারী সু-বিচার চেয়ে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে সে কখনো এ ভুল করবেনা বলে অঙ্গিকারনামা দিয়ে নিস্তার পায়। সোমবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ পিতাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে পান্না আক্তার ও আব্দুল খালেক। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় তারা দু’জন বৃদ্ধ পিতা, ছোট বোন ও ভাগনীকে মারধর ও আমাকে ছেনি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। এতে আব্দুল কাদেরের মাথা, পিঠে ও পায়ে মারাত্মক জখম হয়। এসময় আব্দুল খালেকসহ তার লোকজন পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আব্দুল খালেক বলেন, আমি নেশা করিনা। দীর্ঘদিন ঢাকায় রাজমিস্ত্রির করে জীবন চালিয়েছি। বড় ভাই মারা যাওয়ার পর দায়বদ্ধতা হিসেবে ভাবীকে বিয়ে করে তিন জনের দায়িত্ব নেওয়ায় বৃদ্ধ পিতা ও বড় ভাই আব্দুল কাদেরসহ অন্যরা হিংসা করছিল। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে যখন-তখন ঝগড়ায় লিপ্ত থাকতো। সেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গালমন্দ করা নিয়ে সোমবার আমাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) সোলাইমান হোসেন বলেন, আব্দুল কাদেরের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
0Share