লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সফিক পাঠান নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর করে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক তাবারক হোসেন আজাদ রায়পুর প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকার রায়পুর উপজেলা প্রতিনিধি। সফিক পাঠান চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
শুক্রবার(২৪মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় রায়পুর থানার সামনে জন সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও শাস্তির দাবিতে রায়পুর থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাবারক হোসেন আজাদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রায়পুরের সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠানের নাম উল্লেখ করে ‘রায়পুরে ডাকাতিয়া নদী দখল করে আ’লীগ নেতাদের মাছ চাষ’ ও প্রায় ৪ বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান সফিক পাঠানের মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে আটক এ রিপোর্টসহ কয়েকটি রিপোর্ট যুগান্তরে প্রকাশিত হয়।
এতে ভাই ও ছেলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিক পাঠান। গত ১৮ এপ্রিল তার ইউনিয়নের চরবিকন্সফিল্ড গ্রামের ৪৫ বছরের এক নারীকে দিয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করান সাংবাদিক আজাদের বিরুদ্ধে।
এ মামলায় গত ৮ মে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন প্রদান করেন।
এ মামলার বাদী আদালতে লিখিত ও মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাকে দিয়ে হুমকি ও জোরপূর্বক মামলা করানো হয়েছে। জেলে না যাওয়ায় এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীরা।
শুক্রবার থানার সামনে দিয়ে ইফতার নিয়ে আজাদ বাড়ি যাওয়ার পথে ইউপি চেয়ারম্যান সফিক পাঠান দোকান থেকে তেড়ে এসে সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে জনসম্মুখে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া আজাদের অভিভাবকদের বলে থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তীতে আবারও আজাদকে মারধর করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সফিক পাঠান বলেন, সাংবাদিক আজাদ আমাকে গালমন্দ করেছে। আমি তাকে একটা চড় দিয়েছি। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হয়ে গেছে। পরিবার ও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়া হবে।
রায়পুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শংকর মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ঢালী তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, সাংবাদিক তাবারক হোসেন আজাদের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
0Share